ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মণিরামপুরে স্ত্রীর আত্নহত্যার প্ররোচনার মামলায় স্বামী আটক


প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


মণিরামপুরে স্ত্রীর আত্নহত্যার প্ররোচনার মামলায় স্বামী আটক

   

মণিরামপুর যশোর থেকে আব্বাস উদ্দীন : মণিরামপুরে লিপিকা দাস (২২) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নিহতের স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার গৃহবধূর ভাই বাদি হয়ে মণিরামপুর থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে আত্নহত্যা প্ররোচনায় মামলা করেছেন। গৃহবধূর স্বজনদের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে উপজেলার মাঝিয়ালী গ্রামে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। আটক বিজয় দাস একই গ্রামের ধীরেন দাসের ছেলে। লিপিকার ভাই সাধন দাসের দাবি, ৬/৭ বছর আগে পারিবারিকভাবে কেশবপুর উপজেলার খতিয়াখালি গ্রামের পাগল দাসের মেয়ে লিপিকার সাথে বিজয় দাসের বিয়ে হয়। ওই দম্পতির প্রীতি (৪) ও প্রিতম নামে দু’টি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে টাকার জন্য বিভিন্ন সময় বিজয় তাকে মারধর করত। কয়েকদিন আগে বিজয় জমি কিনবে বলে দুই লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় লিপিকাকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। এমনকি লিপিকার মৃত্যুর খবর বিজয় তাদের জানায় নি। লিপিকা আত্মহত্যা করেছে এমন খবর প্রচার করে তারা তাকে দাহ করার তোড়জোড় শুরু করে। বিজয় ঢাকায় ও চট্টগ্রামে জুতা সিলাইয়ের কাজ করত। লিপিকাও তার সাথে থাকত। চট্টগ্রামে এক নারীর সাথে বিজয়ের পরকীয়া আছে। এই কারণে লিপিকাকে পিটিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয় বিজয়। পরে কেশবপুরে তাদের বাড়িতে আশ্রয় নেয় লিপিকা। এই নিয়ে আমরা কেশবপুর থানায় অভিযোগ করেছি। লিপিকার উপর আর নির্যাতন করবে না মর্মে গত ২২ ডিসেম্বর থানায় মুছলেকা দিয়ে লিপিকাকে বাড়িতে নিয়ে আসে বিজয়। এ ঘটনায় লিপিকার ভাই সাধন দাস বাদী হয়ে থানায় আত্ন হত্যা প্রচারনা মামলা হয়েছে। পুলিশ বিজয় দাসকে অাটক পূর্বক আদালতে চালান দিয়েছে। মণিরামপুর থানার এসআই জহির রায়হান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, লিপিকা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মণিরামপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, লিপিকার স্বজনরা আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে বিজয়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলার করেছে।


   আরও সংবাদ