প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারী, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
যশোর থেকে খান সাহেব : যশোরের চৌগাছায় ইজিবাইকসহ নিখোঁজের তিনদিন পর আব্দুস শুকুর রানা (২০) নামে চালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের আড়সিংড়ি পুকুরিয়া গ্রামের জুলফিকার আলীর ছেলে।
রোববার সকালে স্থানীয়রা লাশটি দেখতে পেয়ে চৌগাছা থানায় সংবাদ দেন। পরে সকাল সাড়ে দশটার দিকে সুখপুকুরিয়া এবং স্বরূপদাহ ইউনিয়নের সীমানায় অবস্থিত কচুবিলা (সাঞ্চাডাঙ্গা) মাঠের একটি কলাক্ষেতের মধ্যে থাকা একটি গাছ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, কলাক্ষেতের মধ্যে উঁচু একটি গাছের উঁচু ডালে রানার লাশ ঝুলছে। মাটি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় রানার পায়ের দূরত্ব ছিল প্রায় দশ ফুট।
বিলাপ করতে করতে নিহতের মা পান্না ও চাচাতো বোন নাজমা জানান, গত শুক্রবার বিকালের কোনো এক সময় চৌগাছা শহর থেকে যাত্রী সেজে রানাকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ভাড়ায় নিয়ে যায়। সেদিন বিকেল থেকে তার ফোন বন্ধ ছিল। এরপর রাতে যশোর শহরের নাইটগার্ড পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি রানার ফুফাতো ভাইয়ের মোবাইলে ফোন করে বলে, ‘তোমাদের রানা শহরে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা ধরে রেখেছি।’ রানার ফুফাতো ভাই একথা তাদের বাড়িতে জানানোর পর মোবাইল করে ওই ব্যক্তিকে বলা হয়, ‘আপনারা রানাকে ধরে রাখেন। আমরা তাকে নিতে আসছি।’
তখন ওই মোবাইলকারী বলেন, ‘রানাকে আমরা ছেড়ে দিয়েছি। সে তো চলে গেছে।’ এরপর আজ সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনতে পেয়ে মাঠে এসে দেখা যায়, রানার লাশ ঝুলছে।
তারা এবং রানার নানি মঞ্জুয়ারা আরা বলেন, ছয়মাস আগে একবার রানার ইজিবাইক ছিনতাই হয়ে যায়। কিছু দিন আগে তাকে আবার একটি ইজিবাইক কিনে দেয় পরিবার।
তবে রানা নিখোঁজের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জানানো হয়নি বলেও জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, কিছুদিন আগে রানা ইজিবাইকে ফেনসিডিলসহ পুলিশের কাছে আটক হয়। এসময় সে পুলিশের কাছে ফেনসিডিলের মালিকদের নাম বলে দেয়। পরে পুলিশ তাকে ইজিবাইকসহ ছেড়ে দেয়।
ওই সূত্রটির ধারণা, এই কারণেই ফেনসিডিলের মালিকরা রানাকে এভাবে হত্যা করেছে।
ঘটনাস্থলে রানার নানি বিলাপ করে বলছিলেন, ‘গ্রামের লোকেরাই আমার রানাকে মেরে ফেলেছে।’ তিনি অস্ফুটস্বরে কয়েকজনের নামও বলছিলেন।
চৌগাছা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই বিপ্লব রায় বলেন, ময়নাতদন্তের আগে তেমন কিছুই বলা যাচ্ছে না