ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

তুলা উৎপাদন বৃদ্ধিতে তুরস্কের সহায়তার আশ্বাস


প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


তুলা উৎপাদন বৃদ্ধিতে তুরস্কের সহায়তার আশ্বাস

   

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের বস্ত্র খাতের অপরিহার্য কাঁচামাল তুলা। চাহিদার পুরোটাই আমদানি করতে হয়। তবে অল্প কয়েকটি দেশ থেকে আমদানির ওপর নির্ভরতা বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে সারা বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে থাকলেও তুলা ব্যবহারে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। তুলা  ব্যবহারের দিকে চতুর্থ অবস্থানে থাকলেও বাংলাদেশ তুলা আমদানিতে দ্বিতীয়। 

বাংলাদেশ বছরে ৮০ লাখ বেল যার মূল্য প্রায় ৩৫-৪০ হাজার কোটি টাকার তুলা আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হওয়া সত্বেও তুলা চাষে তেমন সাফল্য নেই। আমদানি নির্ভরশীলতা কমাতে তুরস্কের সহযোগিতা প্রয়োজন।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে আইএসডিবি রিভার্স লিংকেজ বাংলাদেশ ও তুরস্ক প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে বৈঠকে এ সব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, তুলা চাষে বাংলাদেশের প্রধান অন্তরায় হলো ক্ষতিকারক পোকা। পোকা দ্বারা তুলা ফসল আক্রান্ত হলে এবং সময়মতো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ফসলের মারাত্মক ক্ষতিসাধিত হয় এবং তুলার ফলন আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। বর্তমান বিশ্বে সমন্বিত/ফসল ব্যবস্থাপনার (ওঈগ) মাধ্যমে ফসলকে পোকা-মাকড়ের ব্যাপক আক্রমণ থেকে রক্ষা করা হচ্ছে। 

এছাড়া তুরস্কের উচ্চফলনশীল জাতের সাথে বাংলাদেশের জাত ক্রস করে নতুন জাত উদ্ভাবন করা যায়। সে ক্ষেত্রে দেশটির সহযোগিতা প্রয়োজন। যদিও বাংলাদেশ খড়া ও লবনাক্ত সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন করেছে তবে উৎপাদন তুরস্কের মত নয়। বাংলাদেশে তুলা রপ্তানীর পরিমান বৃদ্ধিরও আহবান জানান মন্ত্রী।

তুরস্ক তুলা উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে অন্যতম; বছরে প্রায় ৯ লাখ টন। বাংলাদেশকে তুলার নতুন জাতসহ বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে তুলা উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে তুরস্ক। তুলার বীজ হতে ভোজ্য তেলও উৎপাদন কওে তুরস্ক। এপর্যন্ত তুরস্ক ১২ টি জার্মপ্লাজম দিয়েছে। বাংলাদেশের তুলার মান মোটামুটি এবং উৎপাদন খারাপ নয় বল্লেন তুরস্কের প্রতিনিধিবৃন্দ। তবে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে নতুন নতুন জাত আবাদ করতে হবে। বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন তারা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে তুলা উৎপাদন বৃদ্ধিতে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের  আর্থিক সহায়তায় একটি প্রকল্প তুরস্কে সাথে নেয়া হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে তুলার উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে খাটো জাতের অধিক ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করা হবে।

তুরস্কের তুলা গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক মোস্তফা কোরয়ে সিমসেকের নের্তৃত্বে প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন বিজ্ঞানী ডঃ সিরিফ বিএলসিআই, মিডিয়া পার্সোনাল ইউকে বারজন ড্যানিয়েল ভন, পিয়ার্স আব্রাহাম ভন এবং ররি গার্ডনার মুন, মিডিয়া পার্সোনাল বাংলাদেশ মুদাসছির হোসেন, বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ডাঃ এমডি কামরুল ইসলাম। এবং তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. ফরিদ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। উৎপাদন বৃদ্ধিতে তুরস্কের সহায়তার আশ্বাস


   আরও সংবাদ