ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ঝুঁকি নেই : ডা.আলী আহসান


প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ঝুঁকি নেই : ডা.আলী আহসান

   

স্টাফ রিপোর্টার : সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আতংকিত হবার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিয়লজি বিভাগের প্রধান ডা. আলী আহসান। 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য দেন।

আলী আহসান জানান, আপাতত ওবায়দুল কাদেরকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। তাকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে। তার বিশ্রামের প্রয়োজন। 

হাসপাতালে কতদিন থাকতে হতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক আলী আহসান বলেন, শিগগিরই স্বাভাবিক জীবনে চলে যেতে পারবেন আওয়ামী লীগ নেতা। কারণ আমরা ইকো করেছি তার ফলাফল ভাল। গত দুই বছর আগে হার্ট অ্যাটাক ছিল। সেটারও  কোনো ঝুঁকি  নেই আপাতত। আশা করছি, দুই একদিনের মধ্যে তিনি ঠিক হয়ে যাবেন।

এদিকে বিদেশ নেওয়ার প্রসঙ্গে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ড. কনক কান্তি বড়ুয়া বললেন, ‘বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারটি তার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে। তবে তার বর্তমানে অবস্থা স্টেবল আছে (স্থিতিশীল)। বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে কিছুক্ষণ আগেও কথা হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয়, অবস্থার উপর তা নির্ভর করবে। 

’তিনি ভালই ছিলেন। কিন্তু সিটি নির্বাচন ঘিরে অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণেই মূলত জ্বর, সর্দিতে ভুগছিলেন বলে নিশ্চিত করলেন, কনক কান্তি বড়ুয়া। 

ওবায়দুল কাদেরের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর নিকট দোয়া ও প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন উপচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া।পাশাপাশি অন্য রোগীদের যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয় সেজন্য হাসপাতালে অহেতুক ভীড় না করারও আহ্বান জানান তিনি। এর আগে বিএসএমএমইউতে ওবায়দুল কাদেরকে  দেখতে আসেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। 

তিনি হাসপাতালে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা জানতে পেরেছি গত কয়েক দিন ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের শ্বাসকষ্ট ও ব্লিডিং সমস্যা হচ্ছিল। সকালে যখন তিনি ধানমন্ডি ৩ এ আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সম্পাদকমন্ডলীর বৈঠকে আসেন তখন শ্বাসকষ্ট সমস্যা অনূভব করেন।’

বিপ্লব বড়ুয়া জানান, সকাল দশটা চল্লিশ মিনিটে তিনি বিএসএমএমইউতে ভর্তি হন। তার ফুসফুসে ইনফেকশন জনিত সমস্যা আছে। ব্লাড প্রেসার আছে। এসময়ে দলের পক্ষ থেকে ওবায়দুল কাদেরের জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে তাঁর দ্রুত সুস্থ্যতার জন্য। গত বছরের ৩ মার্চে বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সেই সময়ে হাসপাতালে ভর্তির পর বিএসএমএমইউতেএনজিওগ্রাম রিপোর্টে হৃদযন্ত্রের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওবায়দুলকে কাদেরকে বিএসএমএমইউ এর কার্ডিওলজি বিভাগের সিসিইউতে রাখা হয়। পরে ৪ মার্চ বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়। 

সার্জারি করেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল  বোর্ডের সিনিয়র সদস্য কার্ডিওথোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামি।

ডা. ফিলিপ কোহে এই চিকিৎসা বোর্ডের প্রধান ছিলেন। তিনি দীর্ঘ দুই মাস ১১ দিন চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে ১৫  মে দেশে ফিরে আসেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।


   আরও সংবাদ