ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ ভাদ্র ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ফলাফলে প্রকাশে দীর্ঘ সময় প্রমাণ করে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে : ইশরাক


প্রকাশ: ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


ফলাফলে প্রকাশে দীর্ঘ সময় প্রমাণ করে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে :  ইশরাক

   


স্টাফ রিপোর্টার :  ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। 
রোববার দুপুরে মধ্য বিরতির পর বিক্ষোভে ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার বলেন, নির্বাচনে ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘ সময় প্রমান করে এ নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। 

দুপুর ২ টায় বিক্ষোভ অংশগ্রহণ করে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন,   হরতালের দাবি সাধারন জনগনের কাছ থেকে আর আমরা সাধারণ জনগণের পাশে আছি তাদের পক্ষে আছি।

হরতাল সাধারণ মানুষের মাঝে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে এই বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হরতালকে কেন্দ্র করে দৃশ্যমান কিছু আমরা দেখছি না। দুই সিটিতেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে সকলেই এ হরতাল পালন করছে। 

নির্বাচনের প্রতিক্ষিয়া কি জানতে চাইলে,
তিনি বলেন,  আমরা বিক্ষোভ শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে জানিয়ে দেবো।

এর আগে সকাল ৭ টা থেকে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।এ সময় প্রতীকী ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। সকাল সাড়ে ৯ টায় নেতাকর্মীদের সাথে যোগ দেয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

এদিকে হরতাল ঘিরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিপুলসংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। নির্বাচনী দায়িত্বের অংশ হিসেবে মাঠে রয়েছে বিজিবিও।

সকাল সোয়া ১১ টার দিকে আসেন ঢাকা দক্ষিনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন তিনি এসেই স্লোগান শুরু করে বলেন,চোর চোর ভোট চোর শেখ হাসিনা ভোট চোর,প্রহসনের নির্বাচন মানি না মানবো না।পড়ে তিনি মাটিতেই বসে পড়ে নেতাকর্মীদের সাথে স্লোগান দেন।

এরপর, রুহুল কবির রিজভী বিক্ষোভ কর্মসূচির বিরতি ঘোষণা করেন তিনি জানান বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা নাগাদ আবারও এই কর্মসূচি চলবে।

মতিঝিল জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, আসলে আজ ওয়ার্কিং ডে। ওয়ার্কিং ডে তে হরতালের কোনো অনুমতি নেই। হরতাল করে তারা গাড়ি  ভাংচুর করবে তা গ্রহণযোগ্য না। এখানে যাতে কোনো ধরণের অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান নিয়েছে। অতিতে আমরা দেখেছি তারা গাড়ি ভাংচুর করে। দেখা যায় প্রথমে তারা আল্প সংখ্যক লোক থাকে, ধীরে ধীরে লোকসংখ্যা বাড়ে। শেষে গাড়ি ভাংচুর করে, গাড়িতে আগুন দেয়।

রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পুলিশ বাঁধা দিতে পারে নাকি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচী বলতে হরতাল করে তো গাড়ি ভাংচুর করতে পারবে না।

সকাল থেকেই নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী,যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন,হাবিব-উন-নবী খান সোহেল,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু,স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু,শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুবদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন,বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী সহ অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকর্মী।


   আরও সংবাদ