ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত নয়, আইইডিসিআর-এর হটলাইন চালু


প্রকাশ: ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত নয়, আইইডিসিআর-এর হটলাইন চালু

   

স্টাফ রিপোর্টার : করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ আইইডিসিআর, চীনের উহান থেকে ফেরত বাংলাদেশী যাত্রীদের অভিভাবকদের প্রশ্নের জবাব দেয়ার জন্য আজ ডাকা হবে।

সরকারের রোগত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণওগবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানটি বলছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলাদেশের কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। রাজধানীর আশকোনার হজক্যাম্পে থাকা চীনফেরত বাংলাদেশি নাগরিকেরা সবাই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে।

বাংলাদেশে অবশ্য এখনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ শনাক্ত হয়নি। তবে ঝুঁকি আছে বলে মনে করছেন সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা।

করোনাভাইরাস সতর্কতামূলক বার্তায় আইইডিসিআর বলছে, ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, অপরিষ্কার হাতে চোখ, মুখ, নাক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি হলে শিষ্টাচার পদ্ধতি মেনে চলা, অসুস্থ পশু-পাখির সংস্পর্শে না আসা, মাছ-মাংস রান্নায় সতর্ক থাকা, ঘরের বাইরে  বের হলে নাক-মুখ ঢেকে বের হওয়া এবং জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত চীন ভ্রমণ  থেকে বিরত থাকতে হবে।

প্রশ্নোত্তরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক প্রফেসর ডা. শাহনীলা ফেরদৌসী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিবেশিত তথ্যে জানা যায় এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে এ যাবত ২০ হাজার ৬৩০ জন নিশ্চিত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত  বুধবার (গত ২৪ ঘন্টায় ৩ হাজার ২৪১ জন আক্রান্ত হয়েছেন)। চীনে ২০ হাজার ৪৭২ জন নিশ্চিত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত (গত ২৪ ঘন্টায় ৩ হাজার ২৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন)। এদের মধ্যে মারাত্মক অবস্থায় আছেন ২৭৮৮ জন (নতুন ৪৯২ জন), মৃত্যুবরণ করেছেন ৪২৫ জন (গত ২৪ ঘন্টায় ৬৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন)। চীনের বাইওে নিশ্চিত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত আছেন ২৩টি দেশের ১৫৯ জন (গত ২৪ ঘন্টায় ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন), মৃত্যু বরণ করেছেন ১ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মূল্যায়নে ঝুঁকির মাত্রা চীনে অতি উচ্চ, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উচ্চ এবং সারা বিশ্বে চীনের জাতীয় পরিস্থিতি-ও তুলে ধরা হয় চীনের সব রোগীদের মধ্যে ৯৭% হুবেই প্রদেশের। চীনে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪২৫ জন। রোগীদের মাঝে মৃত্যুহার চীনে ২.১%, হুবেই প্রদেশে ৩.১% রোগীদের মাঝে ৮০% জনই ৬০ বছরের বেশী বয়সী, ৭৫% রোগী অন্যান্য রোগেও আক্রান্ত, মৃত্যুবরণকারীদের দুই-তৃতীয়াংশ পুরুষ।

আশাকোনা কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র পরিস্থিতি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে দেয়া তথ্য আশকোনা কোয়ান্টাইন কেন্দ্রে  সাতটি ডরমিটরিতে চীন ফেরত যাত্রীগণ অবস্থান করছেন।

চিকিৎসা সেবা ও নার্সিং সেবা কার্যক্রমকে সেনা কর্তৃপক্ষের মেডিক্যাল সার্ভিস পুরোটাই সহায়তা দিচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা সকল ঔষধ সরবরাহ করছে, জরুরী প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে ঔষধ কেনা হচ্ছে। সামরিক বাহিনীর মিলিটারি পুলিশ কোয়ারান্টাইন কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৩০ শয্যার শাখা খোলা হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সবার খাবার, শিশু খাদ্য, শিশুদের ডায়াপার ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করছে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ্জ্ব অফিস কোয়ারান্টাইন ভবনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মশক নিধন সহ ক্যাম্পের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করেছে।

জ্বরে আক্রান্ত একজন শিশুকে বাবা-মা সহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ প্রেরণ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটা থেকে  আইইডিসিআর-এ পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অভিবাবকদেও এখন থেকে নিয়মিতভাবে এ কার্যক্রম চলবে।

প্রয়োজনে আইইডিসিআর-এর হটলাইন নম্বর এ যোগাযোগ করুন: ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১


   আরও সংবাদ