ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

কোনো নোটিশ ছাড়াই যে কোন অফিসে ছুটে যান উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ


প্রকাশ: ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


কোনো নোটিশ ছাড়াই যে কোন অফিসে ছুটে যান উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ

   

সিলেট গোয়াইনঘাট থেকে রফিক সরকার : যে কোন দিন, যে কোন মুহুর্তে, সরকারি যে কোন দপ্তরে হাজির হয়ে যান গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ। উপজেলা চেয়ারম্যানের আকম্মিক ভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন করার কারণে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ প্রতিষ্ঠান ও হাজিরা অনিয়মিত  থাকলেও খাতা কলমে দেখা যায় ভিন্ন কিছু।

সোমবার সকালে হঠাৎ করেই সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে পরিদর্শনে বের হন উপজেলা চেয়ারম্যান। পরিদর্শন কালে সরকারি ১৪টি প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন কালে দেখা যায় অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী অনুপস্থিত রয়েছেন। 

আজ সকাল সোয়া ১০টায় প্রথমেই আনসার ভিডিপি অফিসে গিয়ে কাজের বোয়া ছাড়া কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পাওয়া যায় নি। ঠিক একই সময় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসে গিয়ে একই চিত্র দেখেন তিনি।

সকাল ১০টায় তিনি উপজেলার ১৪টি অফিস পরিদর্শনকালে অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনুপস্থিত দেখতে পান। পরিদর্শনকালে দেখা যায় গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন দপ্তরের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা অনেকেই অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব পালন করছেন। 

পড়ে শিক্ষা অফিসে গিয়ে একমাত্র অফিস সহকারী মনির আহমদ ছাড়া অন্য কোন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। 

অফিস সহকারী মনির উদ্দিন জানান, শিক্ষা কর্মকর্তা ইকবাল মিয়া ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল আলম সিলেট সদরে ওয়ার্কসপে রয়েছেন। অন্য সহকারী কর্মকর্তা শাহিন মাহবুবকে সকাল সাড়ে ১০টায় অফিসে পাওয়া যায়নি।

এসময় যুব উন্নয়ন অফিস পরিদর্শনকালে দেখা যায়, অফিস সহায়ক জামাল উদ্দিন ছাড়া আর কেউ নেই। এই দপ্তরের কর্মকর্তা অতিরিক্ত দ্বায়িত্বে অনত্র রয়েছেন। 

তবে অফিস সহকারী আব্দুস সালামকে অফিসে পাওয়া যায় নি। মৎস্য অফিসেও গিয়ে কোন কর্মকর্তার দেখা মেলেনি আজ। 

উপজেলা স্যাটেলমেন্ট অফিসে গিয়ে চোখ কপালে ওঠার অবস্থা দেখা যায় এই দপ্তরের দরজায় ঝুলছে ডাবল তালা। এসময় কোন কর্মকর্তা কিংবা অফিস সহকারীকে খুঁজে পাওয়া যায় নি। 

ভিআর ডিবি অফিসে গিয়ে শুধু মাত্র অফিস সহায়ককে পাওয়া যায়। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা সিলেটে একটি সভায় রয়েছেন বলে জানা যায়। তবে অন্যান্য কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। হিসাব রক্ষক ও পিআইও অফিসে কোন কর্মকর্তাকেই অফিসে দেখা মেলেনি। 

পিআইও অফিসে শুধু মাত্র অফিস সহায়ককে পাওয়া যায়। সমবায় অফিসের কর্মকর্তা রয়েছেন ছুটিতে, বাকী ৩জন কর্মকর্তার মধ্যে সহকারী পরিদর্শক উপস্থিত ছিলেন। বাকী ২জন কর্মচারী চেয়ারম্যান অফিসে থাকাকালীন সময়ে উপস্থিত হন। 

একমাত্র মহিলা বিষয়ক ও সমাজ কল্যাণ অফিসে গিয়ে দেখা যায় একখানকার সকল কর্মকর্তা/ কর্মচারী অফিসে উপস্থিত রয়েছে।

সকাল সোয়া ১১টায় উপজেলা চেয়ারম্যান  ফারুক আহমদ গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে গিয়ে সকল চিকিৎসক ও কর্মচারীদের উপস্থিত পাওয়া যায়। 

এসময় স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাক্তার রেহান উদ্দিন ও স্যানেটারী ইন্সপেক্টর রমজান আলীকে সাথে নিয়ে হাসপাতাল কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করে রোগীদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন তিনি। 

এসময় বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শনকাল উপস্থিত ছিলেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আম্বিয়া কয়েছ, সিএ লুৎফুর রহমান এবং গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুল মালিক ও গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন প্রমূখ। 

পরিদর্শন শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ জানান, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে লোকবল সংকট রয়েছে, এবং একজন কর্মকর্তা একাধিক জায়গায় অতিরিক্ত দ্বায়িত্বও পালন করছেন। 

তারপরেও যারা দ্বায়িত্বে রয়েছেন তাদেরকে জনসেবায় আন্তরিক হয়ে কাজ করার আহবান জানান তিনি।


   আরও সংবাদ