ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বশেমুরবিপ্রবিতে' ইতিহাস বিভাগ চালু রাখার দাবিতে ঢাবিতে সংহতি সমাবেশ


প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


বশেমুরবিপ্রবিতে' ইতিহাস বিভাগ চালু রাখার দাবিতে ঢাবিতে সংহতি সমাবেশ

   

ঢাবি প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগ চালু রাখার দাবিতে সংহতি সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

আজ (১১ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার সকাল  ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অপারেজয় বাংলার পাদদেশে এই সংহতি সমাবেশ করেন তারা।

সংহতি সমাবেশে ইতিহাস বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী দীপু কুমার দেব এর সঞ্চালনায় সংহতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, ড.ঈশানী চক্রবর্তী।

সমাবেশে মেসবাহ কামাল বলেন, ইতিহাস মানবসভ্যতার যে ধারাবাহিকতা, প্রগতি এবং বিকাশকে ধারণ করে। তাই ইতিহাসের শিক্ষক মানবসভ্যতার শুধু পরিব্রাজকই নয় মানবসভ্যতার ধারক ও বাহক। ইতিহাস অনুশীলনের মাধ্যমে, চর্চা করার মাধ্যমে, একজন ইতিহাসবিদ ইতিহাস চেতনাকে ধারণ করে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি,জন ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী, ইতিহাস একাডেমি সহ আমাদের যত সংগঠন রয়েছে সব সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে যা কিছু করা দরকার প্রয়োজনে আমরা সবকিছু করব।

মেসবাহ কামাল আরোও বলেন, আমরা বশেমুরবিপ্রবিতে আন্দোলনরত সকল শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানায়। তারা তাদের দাবি নিয়ে কাজ চালিয়ে যাক তা আমাদের প্রত্যশা আর আমরা তাদের পাশে সবসময় থাকব।

ইতিহাস বিভাগ চালু রাখার দাবিতে  আমরা  ইউজিসির কাছে, শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এবং প্রয়োজন হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব।

ঈশানী চক্রবর্তী বলেন, ইতিহাস বিভাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইতিহাসের উপর অর্থনীতি, রাজনীতি সহ সবকিছু দাড়িয়ে আছে।

তিনি আরোও বলেন, আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় হোক প্রগতিশীল, অবাধ  জ্ঞান  চর্চার কেন্দ্র। শুধু সার্টিফিকেট দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়কে অবাধ জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইতিহাস বিভাগের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

ঈষানী চক্রবর্তী আরো বলেন, আমরা সবসময়  বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের পাশে থাকব।তাদের স্বপ্ন পূরণ করার অঙ্গীকার হোক মুজিববর্ষের অঙ্গীকার।

সংহতি সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড.আশা ইসলাম নাঈম, ড.প্রদীপ চাঁন দুগার প্রমুখ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থী, বশেমুরবিপ্রবির ইতিহাস বিভাগের বেশ কয়েকজন  শিক্ষার্থী সহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উক্ত সংহতি সমাবেশ  উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুর কমিশন (ইউজিসি) থেকে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন না দেওয়ার প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন শুরু করেছে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা।


   আরও সংবাদ