ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে কৃষকের স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী


প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে কৃষকের স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী

   


স্টাফ রিপোর্টার : কৃষকের ন্যায্যমূল্যের কথা চিন্তা করে বর্তমানে প্রথমবারের মতো আমন মৌসুমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। যাতে কৃষক ধান উৎপাদনে আরো উৎসাহিত হয় সেজন্য কৃষকের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। 
আজ পটুয়াখালী সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী জনাব সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এবছর ১৬ টি জেলার ১৬টি উপজেলায় অ্যাপসের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী বোরো মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহে সব উপজেলায় মোবাইল অ্যাপস চালু করা হবে।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ই প্রথম খাদ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে শুদ্ধাচার কৌশল বিষয়ক সভা করেছিল। সেখানে খাদ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী কে সতর্ক করে, দুর্নীতি পরিহার করে নিজেদেরকে শুদ্ধ হতে বলা হয়েছিল। 

তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত, সুন্দর, আলোকিত খাদ্য বিভাগ তথা খাদ্য মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা আমাদের লক্ষ্য।

সকলকে আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, আসুন আমরা নিজেদের মধ্যে দেশ প্রেম জাগিয়ে তুলি, দেশকে ভালোবাসি। দেশের প্রতিটি সেক্টর যদি এক সঙ্গে, সমভাবে এগিয়ে যেতে পারে তাহলেই আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ অচিরেই বিনির্মাণ করতে পারব।

সভায় পটুয়াখালী জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি জনাব মো মনির। হোসেন বলেন, পটুয়াখালীতে মূলত আমন ধান বেশি উৎপাদিত হয়। পূর্বে কখনো কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি আমন ধান সংগ্রহ করা হয়নি, এবারই প্রথম কৃষক সরাসরি সরকারি খাদ্য গুদামগুলোতে আমন ধান দিতে পারছে। সংগ্রহের সময় আরো কিছুদিন বাড়িয়ে দেবার দাবি জানান তিনি। আমন সংগ্রহ চলবে ২৮ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত।

পটুয়াখালী জেলার জেলা প্রশাসক জনাব মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর, বরিশাল বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক জনাব ফারুক হোসেন, চালকল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ খাদ্য ও কৃষি বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ।


   আরও সংবাদ