প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যতটা তথ্য প্রকাশ্যে আসছে, তার চেয়ে বিপদ আরও বহুগুণ বেশি। প্রকৃত ছবিটা এখনও আড়ালেই। চিনে ঠিক কতটা ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠেছে নোভেল করোনা ভাইরাস, তা নিয়ে দিনের পর দিন সংশয় বেড়েই চলেছে। তবে এবার তা একেবারে চরমে পৌঁছল। দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিজে মাস্ক পরে, হাত গ্লাভসে মুড়ে হুবেই প্রদেশের হাসপাতালগুলি পরিদর্শনে গেলেন। দেখা করলেন করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে নিজে কথা বলে সামগ্রিক পরিস্থিতি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করলেন। আর তাঁর এই পদক্ষেপেই আতঙ্ক বেড়েছে।
অনেকে মনে করছেন, যতটা মনে করা হচ্ছিল, পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ।
বছরের শুরু থেকে চিনে বড় সংকট হয়ে দেখা দিয়েছে নতুন ধরনের জীবাণু – নোভেল করোনা ভাইরাস। খুব কম সময়ের মধ্যেই তা মহামারীর আকার ধারণ করেছে। শেষ খবর অনুযায়ী, করোনা প্রাণ কেড়েছে অন্তত হাজার জনের। গোড়ার দিকে মৃত্যুর হার তবু কিছুটা কম ছিল, ইদানীং সেই হার উর্ধ্বমুখী।
পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম দশা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের। শুধু চিন নয়, বিশ্ব জুড়ে তাবড় গবেষকরা নেমে পড়েছেন নোভেল করোনা রুখে দেওয়ার ওষুধ তৈরিতে। কিন্তু সমাধানসূত্র অধরা এখনও। হুবেই প্রদেশের রাজধানী ইউহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ভাইরাস। বাড়ছে মৃত্যু, আক্রান্তের সংখ্যা।
এই অবস্থায় নিজে সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতে ময়দানে নামলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
মঙ্গলবার সকাল সকাল তিনি হুবেই অর্থাৎ করোনা সংক্রমণের আঁতুরঘরে গিয়ে হাজির হলেন। হাসপাতালগুলিতে ঢোকার আগে তিনি পুরোদস্তুর বর্ম পরে নিলেন। মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস। আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করলেন। তারপর কথা বললেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে। তাঁদের বুঝিয়ে দিলেন, আরও সচেতন হয়ে, আরও নিশ্চিত হয়ে তবেই পদক্ষেপ করতে হবে। পরে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেন, চিন করোনা ভাইরাসের মতো ‘দৈত্য’-এর বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই করছে। শুধুমাত্র সংস্পর্শেই এই রোগের সংক্রমণ এতটাই ছড়িয়ে পড়ছে, যা সার্সের চেয়েও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিন্তা অবশ্য অন্যত্র। ২০১৪-১৬ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা যেভাবে মারণব্যধি হয়ে উঠেছিল, নোভেল করোনারও গতিপথ সেদিকে যাচ্ছে। কিছুতেই তাকে দমন করা যাচ্ছে না। ইউহান পরিদর্শন করে সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্তরা গম্ভীর মুখেই জানিয়েছেন যে বিষয়টি গুরুতর, ভাবনার যথেষ্ট কারণ আছে। সুত্র সংবাদ প্রতিদিন ।