প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন
জিটিসি প্রতিনিধি: নাম কবি রাহিমা আহম্মেদ শ্রাবণী। নামের শুরুতে কবি নামটা নিজেই দিয়েছেন। ইচ্ছে বড় হয়ে একজন কবি কিংবা সমাজ সংস্করণে লিখে যাবেন বেগম রোকেয়া বা সুফিয়া কামালদের মত হয়ে।
সরাকারি তিতুমীর কলেজ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী শ্রাবনী। মাত্র ১১ বছর বয়সে লেখা নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। ছোট বেলায় বাবার অকাল মৃত্যুতে বাবাকে নিয়ে ভাবনার আত্নপ্রকাশ হয়েছিল লেখার মাধ্যমে। তখন থেকে আর পিছু ফিরতে হইনি।
ইতোমধ্যে তাঁর লেখা কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম কবিতার বই "স্বাধীনতা" প্রকাশ পায় ২০১৭ সালে যা কিনা ব্যাপক পাঠক প্রিয়তা পেয়েছে। আরো কয়েকটি লেখা বইয়ের মধ্যে ছিল আজ মহান বিজয় দিবস, পরিচয় , মানবসন্তান।
এবারি প্রথম বই মেলায় প্রকাশ পেয়েছে শ্রাবনীর বই "তোমারি বিজয় হয়েছে"। প্রকাশ করেছেন নব সাহিত্য প্রকাশনি।
তারঁ এ বই সম্পর্কে কথা একান্ত সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তাঁর কথা। এবারি প্রথম বই মেলায় বই প্রকাশ পাওয়ায় তাঁর অনুভুতি জানতে চাওয়া হলে শ্রাবণী বলেন, বই মেলায় কোন বই প্রকাশ পাওয়া একজন লেখকের সবচেয়ে বড় অর্জন। নতুন লেখিকা হিসেবে আনন্দটা হচ্ছে আরো বহুগুণ। নব সাহিত্য প্রকাশনিকে দিয়েছেন ধন্যবাদ তাঁর বই প্রকাশ করার জন্য। বইটি পাওয়া যাচ্ছে বই মেলার ২৯৩ নং স্টলে।
"তোমারি বিজয় হয়েছে" বই সম্পর্কে শ্রাবনী বলেন, বর্তমান সমাজে যে সকল সমাজে হানা-হানি, সামাজে অসংগতি, দু'পরিবারের মধ্য সমাজে অর্থনৈতিক যে সকল সমস্যা তা নিয়েই মূলত বইটি লেখা।
লেখা নিয়ে তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হলে শ্রাবনী বলেন, জীবনে যতটুকু সম্ভব লেখা নিয়ে থাকতে চাই। সমাজে সমস্যা সমাধানে লিখে যেতে চাই আজীবন।
বর্তমান তরুন লেখক প্রজন্মকে শ্রাবণী বলেন, লেখকদের অযথা বিষয়ে না লেখার পাশাপাশি সমাজ, বাস্তবতাভিত্তিক,সমাজ উন্নয়নে লেখার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়াও এবারের বই মেলায় প্রকাশ পেয়েছে একাধিক তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের বই।
মাস্টার্স শেষ পর্বের শিক্ষার্থী নাছরিন মোড়লের লেখা "পিচঢালা পথের বাঁকে" পাওয়া যাচ্ছে ১৯৩ নং স্টলে। তাঁর আরেকটি বই "লিটল ম্যাগ, চত্বর" পাওয়া যাচ্ছে ১১১ নং স্টলে।
আলতাব হোসেনের লেখা কাশঁফুল পাওয়া যাচ্ছে ৭১১ নং স্টলে।
মার্কেটিং বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আওলাদ হোসেন সজীব এর লেখা "অন্ধ ভালোবাসা আধাঁরে রয়ে গেলো" বইটি পাওয়া যাচ্ছে ২৯৩ নং স্টলে।