ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ভোলা বোরহানউদ্দিনে শিক্ষার্থীর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন


প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


ভোলা বোরহানউদ্দিনে শিক্ষার্থীর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

   

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার বোরহানউদ্দিন কাচিয়া ০৮ নং ওয়ার্ডের দালাল বাজার এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও তার মা গুরুতর আহত হয়। এই ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা করেছেন আহত শিক্ষার্থীর মা শাহানুর বেগম।

হামলার প্রতিবাদে গতকাল ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ১১ ঘটিকার সময় হইতে দুপুর ১২ ঘটিকা পর্যন্ত ঘন্টা ব্যাপী পদ্মামনসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক শিক্ষিকরা সহ এলাকাবাসী সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানব বন্ধন করেন।
এসময় মানববন্ধনে বক্তারা দাবি জানান, সন্ত্রাসী বাহিনীদের বিচার হওয়া উচিৎ। না হয়, এই রকমই সন্ত্রাসীদের আক্রমণ এর ভয়ে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা আসতে পারবেনা। কখন যে আবার কার উপরে আক্রমণ হয় এ নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে চরম উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
৬ ই ফেব্রয়ারি বৃহস্পতিবার পদ্মামনসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মোঃ ছালমান (১৫) স্কুল ছুটি হওয়ার পরপরই তার বাড়িতে যাওয়ার পথে তাদের বাড়ির দরজায় বসার বৈঠক খানার সামনে যেতে না যেতেই হঠাৎ পাচঁ হুন্ডায় মোঃ নাঈম, পিতা ছলেমান, মোঃ সেলিম ও সোহেল সহ আরো সন্ত্রাসী বাহিনী হঠাৎ এসে তাকে হুন্ডার উপর উঠাতে চেষ্টা করে। তার পরই ছালমান উঠতে না চাইলে তখনই সন্ত্রাসীরা দশম শ্রেণির ছাত্রকে থাপ্পর ও গুসি এবং পা দিয়ে লাথি শুরু করে এবং ছালমান এর চিৎকার শুনতে পেয়ে তার মা বাড়ি থেকে আসতে দেখে ছালমানকে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তার নাকমুখ থেকে রক্ত বের হয়। এমন কি তার একটি বই রক্তে ভিজে যায়। সালমানকে উদ্ধার করতে তার মা এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করার পরই ছালমান ও তার মা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ডাক চিৎকার শুনতে পেয়ে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাৎক্ষণিক পালিয়ে যায়। অন্যান্য অচেনা সন্ত্রাসী বাহীনিরা সেলিমও সোহেল তার নিজ বাড়িতে গিয়ে পালিয়ে থাকে এবং নাঈম সহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এলাকার জনগন ডাকচিৎকার শুনতে পেয়ে তাৎক্ষণিক পাটোয়ারী বাড়িতে এসে ভীড় করে এবং তারা থানায় জানালে তাৎক্ষণিক থানা থেকে পুলিশের এসআই দেলোয়ার, এস আই হেমায়েত সংজ্ঞিয় ফোর্স সহ এসে জনগনের কাছে এই ঘটনার কথা শুনে এবং সেলিমদের ঘরে ঢুকে সেলিম কে আটক করে থানায় নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এই ঘটনায় আহত ছালমানের মা শাহানুর বেগম বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় ৪ জন কে চিহ্নিত করে ও আরো ৪-৫ জন কে অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৬।

এবিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো.এনামুল হক জানান, আমি ঘটনার সময় ছুটিতে ছিলাম। নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে এবং সকল আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


   আরও সংবাদ