ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ ভাদ্র ১৪৩১, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

কোনাবাড়িতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ


প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


কোনাবাড়িতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ

   


গাজীপুর সংবাদদাতা: গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়িতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২৭ বছরের এক নারীকে তিন মাস ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ধর্ষণের ঘটনায় গেল-মঙ্গলবার বিকেলে ভিকটিম থানায় গিয়ে মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। তবে থানা বলছে ভিকটিম আসেনি।

ভিকটিম ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, নগরীর কোনাবাড়ি থানাধীন রাজাবাড়ি এলাকার মৃত্যু মকবুল হোসেন ওরফে উক্কু মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মহাজন কোনাবাড়ি নতুন বাজার এলাকায় ট্রাক স্ট্যান্ডে কভার ভ্যানের ব্যবসা করেন। একই এলাকার এক নারীর সঙ্গে বিগত কয়েক মাস ধরে সম্পর্ক করেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক হয়। এমনকি ওই নারীর স্বামীকে তালাক পর্যন্ত দিতে বলে ধর্ষক আবুল হোসেন। এর পর বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে কয়েক মাস যাবত ভিকটিমের বাসায় গিয়ে ধর্ষণ করে।

এতে করে ওই নারী তার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী থাকায় বিয়ের আশ্বাস পেয়ে তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে স্বামীকে তাড়িয়ে দেন। ধর্ষকের কথা অনুযায়ী স্বামীকে তাড়িয়ে দেয়ার পরে বিয়ের করার জন্য চাঁপ প্রয়োগ করেন ধর্ষিতা। তিন মাস যৌন মিলনের পর তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে ওই লম্পট ধর্ষক। পরে উপায়ন্তর না পেয়ে ধর্ষিতা (জিএমপি’র) কোনাবাড়ি থানায় ধর্ষণের মামলা করতে যান।

তবে এ ঘটনায় থানা মঙ্গলবারে মামলা না নিলেও বুধবারে মামলা নেওয়া প্রক্রিয়া চলছে বলে থানা জানায়। কোনাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ এমদাদ হোসেন জানান, তিন মাস ধরে একজন নারীকে কিভাবে ধর্ষণ করে অবশ্যই ওই নারী স্বইচ্ছায় গেছে। তিনি বলেন, যদি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয় তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই মামলা হবে। বিশেষ কাজে রাজশাহীতে থাকায় ওসি বিষয়টি জানতেন না।

ভিকটিমের পরিবার জানান, এ ঘটনার পর থেকে ধর্ষক আবুল হোসেন ও তার কভার ভ্যান ব্যবসায়ীর অন্যান্য সহযোগি তপন মিয়া, বিপ্লব মিস্ত্রী, ইদ্রিস সিকদার, আব্দুল রশিদ ও ইনসানসহ ধর্ষিতাকে মামলা না করাসহ নানা ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পায়তারা করছে বলে অভিযোগে অভিযোগে জানায়। ধর্ষকের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।


   আরও সংবাদ