ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চৌগাছায় মেছোবাঘ আটক করে বিপাকে কৃষক


প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


চৌগাছায় মেছোবাঘ আটক করে বিপাকে কৃষক

   

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছায় একটি মেছোবাঘ (বাঘডাসা) আটক করেছে কৃষকরা। তিনদিন ধরে মেছোবাঘটি আটক করে রাখলেও বন বিভাগের কর্মকর্তারা এটি উদ্ধারে কোন ব্যবস্থা নেননি।

বুধবার রাতে উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়নের তিলকপুর গ্রাম থেকে মেছোবাঘটিকে আটক করেন কৃষকরা। এরপর থেকে বস্তায় ভরে রাখা হয় সেটিকে। পরে শুক্রবার একটি মুরগি রাখার খাচায় বাঘটিকে রেখেছেন তারা। 

এবিষয়ে শুক্রবার সকালে উপজেলা বন কর্মকর্তা ওমর আলী গাজী এবং বেনাপোল স্থল বন্দর বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের বন কর্মকর্তা মামুন-অর-রশিদকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানানো হলেও তারা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাঘটিকে উদ্ধারে কোন ব্যবস্থা নেননি। এদিকে মেছোবাঘটিকে আটক করে ওই কৃষক পড়েছেন বিপাকে। ধরার সময়ে বাঘটি একজনকে কামড়ে দেয়। এখন ছেড়ে দিলে অন্য কাউকে যদি কামড়ে দেয় অথবা কেউ বাঘটিকে মেরে ফেলে এই ভয়ে তারা ছাড়তেও পারছেন না।

তিলকপুর গ্রামের কৃষক ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম লতামিয়া জানান, গত বুধবার রাত ১০টার দিকে নিজের বাড়িতে প্রবেশের মুখে গেটেই তিনি বাঘটিকে দেখতে পান। তখন তিনি কিছুটা ভয় পেয়ে চিৎকার করলে গ্রামের লোকজন জড়ো হয়। এসময় বাঘটি লতামিয়ার মেঝে ভাই সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে সবাই মিলে বাঘটিকে ধরে ফেলেন তারা। লতা মিয়া বলেন ধরার সময় মেছোবাঘটি আহমদ আলী নামে একজনকে কামড়ে দেয় এবং আমাকেও কয়েকবার কামড়াতে যায়। পরে বাশদিয়ে বাড়ি দিয়ে ওটিকে কাবু করি। এরপর তারা সেটিকে  প্লাষ্টিকের বস্তাবন্দি করে রাখেন। পরে শুক্রবার দুপুরে তারা স্থানীয়ভাবে একটি মুরগি রাখার খাচায় বাঘটিকে রেখেছেন।

তিনি বলেন, বাঘটি ছেড়ে দিলে মানুষ বা গৃহপালিত পশুকে কামড়াতে পারে অথবা বাঘটি হত্যা করা হতে পারে সেই ভয় থেকে আমি বাঘটি আটকে রেখেছি। লতামিয়া বলেন ভারত সীমান্ত লাগোয়া আমাদের গ্রাম। সীমান্তের ওপারে (ভারতে) রয়েছে বনজঙ্গল। সেখান থেকেই হয়ত বাঘের বাচ্চাটি এদিকে চলে এসেছে। তিনি জানান আটককৃত মেছোবাঘটি আনুমানিক ১ফুট উচ্চতা ও ৩০ ইঞ্চি লম্বা হবে বলে জানান লতা মিয়া।

এদিকে সংবাদ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক চৌগাছা উপজেলা বন কর্মকর্তা ওমর আলী গাজী এবং বেনাপোল স্থল বন্দর বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের বন কর্মকর্তা মো. মামুন-অর-রশীদকে মোবাইলের মাধ্যমে অবগত করেন। মামুন-অর-রশিদ বেলা ১১টার দিকে বলেন বিষয়টি আমি দেখছি। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিকেল চারটায় বাঘটিকে উদ্ধার করা হয়নি। বন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে কোন প্রকার যোগাযোগও করা হয়নি।


   আরও সংবাদ