ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ওঁৎ পেতে থাকা মাহবুব ও মোমিন হত্যা করে


প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


ওঁৎ পেতে থাকা মাহবুব ও মোমিন হত্যা করে

   

স্টাফ রিপোর্টার : ছিনতাইকারী চক্রের হোতা মামুনুর রশিদ গাবতলী থেকে আশুলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয় পাঠাওয়ের মোটরসাইকেলে করে। এক পর্যায়ে ধূমপানের কথা বলে পাশের বাঁশঝাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা মাহবুবুর ও মোমিন পাঠাওচালক শামীমকে (৩০) গলা কেটে হত্যা করে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তারা একটি সংঘবদ্ধ পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তারা অন্যান্য ছিনতাইকারীর মতো টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই করে না। তারা শুধু মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, সিএনজি, অটোরিকশার মতো ছোট যানবাহন ছিনতাই করে।

‘গ্রেফতার মামুনুর রশিদ জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সে পেশায় একজন পোশাককর্মী। প্রায় পাঁচবছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত এবং ছিনতাইকারীর এ চক্রটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। ঘটনার আগের দিন রাতে সে ভিকটিমের মোটরসাইকেল দিয়ে গাবতলী থেকে আশুলিয়া যায় এবং তাকে টার্গেট করে হত্যা করা হয়।’

লে. কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল বলেন, ঘটনার দিন আবার ভিকটিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তার মোটরসাইকেলে গাবতলী থেকে আশুলিয়ায় পৌঁছে দিতে বলে। দুপুর ২টার দিকে গাবতলী থেকে আশুলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধূমপানের কথা বলে পাশের বাঁশঝাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা মাহবুব ও মোমিন ভিকটিমের ওপর আক্রমণ করে।

তিনি বলেন, জামগড়া এলাকায় গ্রেফতার মাহবুবুর রহমানের একটি চায়ের দোকান আছে। সেখানে বসেই তারা এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন ভিকটিমকে সে-ই প্রথম ছুরি দিয়ে আঘাত করে। একই কথা জানিয়েছেন গ্রেফতার মোমিন মিয়া।  

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আশুলিয়ার কাঠগড়া পালোয়ান পাড়ার মোল্লা বাড়ির বাঁশঝাড় এলাকা থেকে শামীম বেপারী বাবু (২৮) নামে এক পাঠাও চালককে খুন করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শাহিন বেপারী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন। 


   আরও সংবাদ