ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে শোক মিছিল


প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে শোক মিছিল

   

 

 

স্টাফ রিপোর্টার : সীমান্তে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে শোক মিছিল করেছে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে একটি শোক মিছিল বের করে। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, ভিসি চত্বর, কলাভবন হয়ে আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।

মিছিল পূর্ব সমাবেশে ইব্রাহিম নাফিস নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, দেশের স্বার্থে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছিল। আবরার ফাহাদ ফেসবুকে শুধুমাত্র ভারতের বিপক্ষে কথা বলেনি বরং বাংলাদেশের হর্তাকর্তাদের এদেশকে ভারতের কাছে বিকিয়ে দেয়ার কথা বলেছিল।

তিনি বলেন, আজকে যদি ভারতের সর্বগ্রাসী আগ্রাসন রুখে দিতে না পারি, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারি, তাহলে আরও হাজারো আবরারকে আমাদের হারাতে হবে।

ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান বলেন, আজকে ২১ ফেব্রুয়ারিতে আমরা আবরারের চেতনাকে ধারণ করে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি রেখেছি।

আরেক শিক্ষার্থী রায়হান আহমেদ অর্ক বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে প্রতিনিয়তই মানুষ খুন হচ্ছে। কোনো বছর কম, কোনো বছর বেশি। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের কোনো প্রতিকার আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে দেখছি না। আজকে এখানে (রাজু ভাস্কর্যে) নাসির ২৮ দিন ধরে অবস্থান করছে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। কোনো আশ্বাস দেয়া হয়নি। সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ বারবার পতাকা বৈঠক করেও সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে পারছে না। ভারত ইচ্ছাকৃতভাবেই সীমান্তে মানুষ হত্যা জারি রাখছে।

আহমেদ জুবায়ের নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদের দিন, আমাদের জন্য একটি সাহসের দিন, একটি প্রেরণার দিন। এদিন আমরা একদিকে মহাসমারোহে পালন করছি। কিন্তু অন্যদিকে সীমান্তে বাংলাদেশের মানুষ খুন হচ্ছে। অগণিত মানুষ মারা যাচ্ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মানুষ খুন হয় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে। কিন্তু এখানে আমরা নির্বিকার। রাষ্ট্র কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আর রাষ্ট্র এসব মানুষকে ‘গরুচোর’ বলে চালিয়ে দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, একদিকে ভারত আমাদের দেশে প্রতিদিন মাদক পাচার করছে কিন্তু কোনোদিন কোনো মাদক কারবারিকে মারা হয়নি। যা আমাদের অন্য কিছু ভাবায়।

শোক মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আগ্রাসন যেখানে লড়াই হবে সেখানে’, ‘দিল্লী না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা’, ‘ক্ষমতা না জনতা? জনতা জনতা’, ‘সীমান্তে মানুষ মারে রাষ্ট্র কী করে’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাঁড়াও জনগণ’, ‘৫২’র র শহীদেরা লও লও লও সালাম’, ‘৭১’র শহীদেরা লও লও লও সালাম’, ‘কাঁটাতারের শহীদেরা লও লও লও সালাম’ সহ নানা স্লোগান দেন।


   আরও সংবাদ