প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
নরসিংদী : নরসিংদী ঘোড়াশাল পাইকসায় ৭ দিন ব্যাপি কুঞ্জমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। (২৭ ফেব্রুয়ারী) পর্যন্ত চলবে এই মেলা। হিন্দু ধর্মীয় নন্দোৎসব হরেনাম কীর্তনকে উপলক্ষ করে এই মেলা এই উৎসব। ১৫ দিন ব্যাপি রাধা কৃষ্ণ এর নামে কীর্ত্তন উপাসনা শেষে, মাঘ-ফাল্গুনে কোন এক তারিখে এ কুঞ্জমেলা অনুষ্ঠি হয়। এবার শুরু হয়েছে ফাল্গুনের প্রথম সপ্তাহে।
এইদিন হিন্দু সনাতন ধর্মালম্বীগনের বহু পুরানো রাধা কৃষ্ণের নামজজ্ঞ শুরু হয়। মানব শান্তি কল্যাণের আরাধনায় নানা বয়সের হরিভক্তগন তাদের মানত্ ও প্রসাদ বিতরন করে মনের আরতি দান করে থাকে। এদিন ভক্তগন শিবঠাকুর ও কালী দেবতারও প্রতিও তাদের ভক্তিপূর্ণ পুজো নিবেদন করে থাকেন।
সরজমিনে আজ (২৩ ফেব্রুয়ারী) মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে দেখা গেছে, বহুসংখ্যক দোকানী মেলায় বেচাবিক্রির জন্য নানা রঙের পণ্য সাজিয়ে তারা বসে আছে। বেলা গড়িয়ে বিকাল হলেই অন্যদিনের মতো মেলা দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে উঠবে। শুরু হবে দোকানীদের বিক্রির ধুম।
ছোটদের খেলনা, মেয়েদের চুড়ি, কিশোর ছেলেদের জন্য হরেক রকমের প্লাস্টিক গাড়ি, বাঁশি, বড়দের জন্য রান্নাবান্নার তৈজসপত্রের দোকান সারিসারি বসেছে।
তাছাড়া মেলার প্রধান আকর্ষন হচ্ছে, নিমকি, মুড়লি, জিলাপি, রসের মিষ্টির পসরা। ঘোসদের যেন জানাই থাকে এই শীত মৌসুমে কোথায় কখন মেলা জমবে তার তারিখ। তারা সবসময় দু'একদিন আগে এসে তাদের মিষ্টি বানানোর কাজ শুরু করে দেয়। আবার মেলার শেষ পর্যন্ত তারা থাকেন।
মেলায় ফোটকা বেলুন বিক্রেতা হরছুল মিয়ার সাথে কথা হল, সে আমাকে জানান অনান্য বছরের মতে এবারো সে এই মেলাতে ২/৩ দিন হয় আছে। এবার অন্য বছরের মতো বিক্রি কম। ঠিক মুড়লি বেপারী মিনহাজ জানায় এবার বেচাবিক্রি কম। হরিপদ ঘোষ শুধু বলেছে তার সব মিষ্টিই প্রতিদিন বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তবে সকল দোকানীই এবার খুশী আবহাওয়া ভালো আছে। মেঘ বৃষ্টি নেই। তাদের মেলায় অবস্হান দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছেনা।
এই মেলা আবার আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের হিন্দু-মুসলমানদের কাছে একটি বাৎসরিক মিলমেলা। এসময় সবার বাড়িতে বিশেষ করে জামাই মেয়ের আগমন ঘটে। দূরদুরান্ত থেকে নিমন্ত্রিত অতিথিদের ভিরে বাড়ি ঘর সরগরম হয়ে উঠে। এসময় সবার বাড়িতে বিশেষ মাছ মাংসসহ উন্নত আয়োজন থাকে। সব মিলে অত্র অঞ্চলের মানুষ এই কুঞ্জমেলা ঘিরে সপ্তাহ দিনধরে সব বয়সের মানুষজন এক অন্যরকম অনাবিল আনন্দে মেতে উঠেন। এমনি ভাবে মনে হয়, যেন তারা এই মেলার জন্য দীর্ঘ সময় অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকে।