ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

নওগাঁয় যুবলীগ সভাপতি ইমরানকে পেটালেন ওসি


প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


নওগাঁয় যুবলীগ সভাপতি ইমরানকে পেটালেন ওসি

   

 

 

স্টাফ রিপোর্টার : নওগাঁর নিয়ামতপুর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বোনের প্রেমসংক্রান্ত বি’ষয় নিয়ে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ইমরান হোসেনকে পি’টিয়েছেন বলে অ’ভিযোগ উঠেছে। আ’হতাবস্থায় তিনি উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। রোববার রাত ৯টার দিকে ঘটনার পর দফায় দফায় বৈঠকের পর উপজে’লা নির্বাহী অফিসার জয়া মারিয়া পেরেরা সমঝোতা করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

আ’হত ইমরান হোসেন উপজে’লার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড (হরিপুর গ্রাম) যুবলীগের সভাপতি। রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নিয়ামতপুর থানায় ওসির কক্ষে এ নি’র্যাতনের ঘটনা ঘটে। ওসির এমন কর্মকাণ্ডে উপজে’লায় চলছে নানা গুঞ্জন। সচেতনাদের প্রশ্ন ওসি কেন অ’ভিযোগ করার জন্য চা’প প্রয়োগ করবেন। ওসি যদি এমন কর্মকাণ্ড করেন তা হলে সাধারণরা নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইমরান হোসেনের চাচাতো বোন মোবাইল ফোনে মাধ্যমে জে’লার মহাদেবপুর উপজে’লার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ওই যুবক হরিপুর গ্রামে রোববার দুপুরে দেখা করতে যান। যুবকের সঙ্গে মেয়েকে কথা বলতে দেখে এ নিয়ে ইমরান হোসেনের পরিবারের মধ্যে দ্ব’ন্দ্ব শুরু হয়।

পরে বি’ষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ায়। ইমরান হোসেনের পরিবারের একপক্ষ ওই যুবকের বি’রুদ্ধে থানায় অ’ভিযোগ করতে চায়। কিন্তু ইমরান অ’ভিযোগ না দিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চান। অন্যদিকে ওসি আবুল কালাম আজাদ বি’ষয়টি নিয়ে থানায় অ’ভিযোগ করতে চা’প প্রয়োগ শুরু করেন। এ নিয়ে ইমরান হোসেন বা’ধা দেন।
এতে ওসি ক্ষি’প্ত হয়ে থানায় ওসির কক্ষে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ইমরান হোসেনকে চড়থাপ্পড় ও কিলঘুষি দিয়ে আ’হত করে বলে অ’ভিযোগ ওঠে।

পরে ইমরান হোসেন সেখান থেকে চলে যান। বি’ষয়টি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। ঘটনার পর দফায় দফায় বৈঠকের পর উপজে’লা নির্বাহী অফিসার জয়া মারিয়া পেরেরার মধ্যস্থতায় রাত ৯টার দিকে উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ইমরানের হাত ধরে ওসিকে সমঝোতা করে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।

শ্রীমন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম বলেন, শুনেছি ইমরানের চাচাতো বোনের সঙ্গে গ্রামের এক ছেলে দেখা করতে আসে। এ নিয়ে ওই ছেলের সঙ্গে মেয়ের পরিবারে দ্ব’ন্দ্ব হয়। পরে অ’ভিযোগ করার জন্য উভ’য়পক্ষ থানায় যায়। নিয়ামতপুর উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রণব কুমার সাহা বলেন, ইমরান বিকাল সোয়া ৫টার দিকে হাসপাতালে আসে।

তার অ’ভিযোগ ছিল- হাসপাতালে আসার প্রায় ঘণ্টাখানেক আগে তাকে আ’ঘাত করা হয়েছে। তিনি আসার পর তেমন কোনো গু’রুতর আ’ঘাত আমরা পাইনি। তবে তিনি বলছিলেন যে, ঘাড়ে ও কানে আ’ঘাত পেয়েছেন। এর পর তাকে ভর্তি করা হয়। তিনি কানে ব্যথা পেয়েছেন। আমরা ইমরানকে চিকিৎসা দিয়েছি; এখন অনেকটা সুস্থ।নিয়ামতপুর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

নিয়ামতপুর উপজে’লা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জয়া মারিয়া পেরেরা বলেন, বি’ষয়টি তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ না। সাধারণ একটি বি’ষয়টি। উভ’য়পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে উভ’য়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেয়া হয়েছে।


   আরও সংবাদ