ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কবর জিয়ারতে পুলিশি বাধা, ছাত্রলীগের হামলার শিকার ছাত্রদল নেতারা


প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


কবর জিয়ারতে পুলিশি বাধা, ছাত্রলীগের হামলার শিকার ছাত্রদল নেতারা

   

 


স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বাসের ধাক্কায় নিহত ছাত্রদলের চার নেতার কবর জিয়ারতে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় নেতাদের বহরে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পরে কবর জিয়ারত না করেই ঢাকায় ফেরার পথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন তারা। এতে ৪ ছাত্রদল নেতা আহত হয়েছেন।

জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকালে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় যাচ্ছিলেন ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীরা। এসময় দ্রুতগামী বাস অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে চার ছাত্রদল নেতার মৃত্যু ঘটে। এদিকে, মঙ্গলবার সকালে নিহতদের কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের নেতৃত্বে অর্ধশত নেতা ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে আরও কিছু স্থানীয় নেতাকর্মী তাদের বহরে যোগ দেয়।

এসময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন; সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল; সহ-সভাপতি আশরাফুল ফকির লিংকন, মাজেদুল ইসলাম রুমন, মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, মোস্তাফিজুর রহমান; যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, নিজাম উদ্দিন রিপন; সহ-দপ্তর আজিজুল হক সোহেল; ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাইমুল করিম লুইন; সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন; ময়মনসিংহ উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি নিহাদ সালমান ডুনন; ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলার সভাপতি মাহবুবুর রহমান রানা; সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তাদের বহর ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে তারা কবর জিয়ারত না করেই ঢাকার দিকে রওয়ানা হয়। এদিকে, তাদের বহর ময়মনসিংহের ফুলপুর  উপজেলায় পৌঁছালে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। এতে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তানজীল মাহমুদ ও এনামুল হক ফরাজি, যুগ্ম সম্পাদক রাশেদ সিদ্দিকী ও দপ্তর সম্পাদক নাহিদুজ্জামান সাদ্দাম আহত হয়েছেন। পরে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের কবর জেয়ারত করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। যেহেতু তারা ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল তাই তাদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা তাদের পরিবারের সাথে দেখা করতে যাই। কিন্তু পুলিশ রাস্তায় এমনভাবে আমাদের রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছে মনে হচ্ছিল এটি যুদ্ধক্ষেত্র।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক নিজাম উদ্দিন রিপন  বলেন, ১০টি গাড়িতে শতাধিক নেতাকর্মী ছিলাম আমরা। পুলিশি বাধায় ফেরার পথে ফুলপুর নামক এলাকায় ছাত্রলীগ এবং শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে ৪/৫টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। আহত হয়েছেন ছাত্রদলের ৪ নেতা। পরে তাদের ময়মনসিংহের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

তবে বাধার অভিযোগ অস্বীকার করে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস  বলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা যাদের কবর জিয়ারত করতে এসছিল তাদের পরিবারের লোকজন চাচ্ছিল না তারা (কেন্দ্রীয় ছাত্রদল) নিহতদের কবর জিয়ারত করুক। সেখানে একটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশ তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে চলে যেতে বলে। তবে ছাত্রলীগের হামলার বিষয়টি সর্ম্পর্কে অবগত নন তিনি।


   আরও সংবাদ