ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

গাজীপুরে সিরামিকের মাটিতে রাস্তা বিপজ্জনক


প্রকাশ: ১ মার্চ, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


গাজীপুরে সিরামিকের মাটিতে রাস্তা বিপজ্জনক

   

গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা : গাজীপুরে পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ইউনিক সিরামিক নামক ইট তৈরির কারখানা। এলাকার পরিবেশ বিপর্যয়সহ ধ্বংস হচ্ছে সরকারি কাপোর্টিং করা রাস্তা-ঘাট। 

রোববার (২ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে দেখো গেছে, গাজীপুর সিটি কপোর্রেশনের কোনাবাড়ি পূর্বপাড়া এলাকায় অবস্থিত ইউনিক সিরামিক নামক ইট তৈরির কারখানাটি চলছে। ছাড়পত্র না থাকলেও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কারখানাটি চলছে তো চলছেই। 

গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুস সালাম সরকার জানান, ওই কারখানায় নতুন করে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। আগের দেওয়া ছাড়পত্র থাকতে পারে তবে আপডেট নবায়ন নেই। সিটি কপোর্রেশন এলাকায় ছাড়পত্র দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি জানান, এ ব্যাপারে অচিরেই ব্যবস্থা নেওযা হবে।

এ দিকে ডাম্প ট্রাক ও লরি দিয়ে রোজ জন সাধারণের চলার রাস্তা দিয়ে মাটি নিয়ে আসা-যাওয়া করছে স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী শিপন আহম্মেদ ও মজনু মোল্লা। তারা সরকারি কাপোর্টিং করা রাস্তা ধ্বংস করে ইউনিক সিরামিকে মাটি বিক্রি করার ধুম ফেলেছেন।

ফলে রাস্তায় পড়ছে মাটি। উড়ছে ধুলো। হালকা বৃষ্টি হলেই পিছলে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। ধুলো-বালি আর কাদায় বাড়ছে জনদুভোর্গ। প্রতিনিয়ত মোটরসাইকেলের চাকা পিছলে গিয়ে ছিটকে পড়ছে আরোহীরা। নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রাক-বাস।

ডাম্প ট্রাকের মাটি সড়কে পড়ে পাথরের মতো সৃষ্টি হয়ে পড়ে আছে। সামন্য বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে রাস্তা খুবই বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। এলাকার পরিবেশ বিপর্যায় তার পরেও পরিবেশ অধিদপ্তর নড়েচড়ে বসছে না স্থানীয়রা এমনি ভাবে জানান। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পোশাক কারখানার এক কর্মকর্ত বলেন, মানুষ বসবাসের আবাসিক এলাকা ছাড়াও রপ্তানিমুখী পোশাক তৈরির কারখানা রয়েছে। সেখানে বেআইনি ভাবে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এমন ইট তৈরির কারখানার চলে কিভাবে? 

ভুক্তভোগিরা আরো বলেন, রোজ ডাম্প ট্রাক দিয়ে মাটি নিয়ে আসা-যাওয়া করছে। ট্রাক থেকে মাটি পড়ে কাপোর্টিং করা সরকারি রাস্তাগুলো ভেঙে যাচ্ছে। ট্রাকের অত্যাচারে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছে না তারা। ধুলো-বালিতে পরিবেশ দুষণ হওয়ায় শিশুদের শ্বাসকষ্ট ও জ্বর লেগেই আছে। 

এ ব্যাপারে গাজীপুর সিটি কপোর্রেশনের অঞ্চল সাত (আনিক) নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু সাইদ মোল্লা জানান, বিষয়টি জানা ছিলো না। এদের বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারখানা কর্তপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।


   আরও সংবাদ