ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ ভাদ্র ১৪৩১, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নোয়াখালীতে হামলার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের বিবৃতি


প্রকাশ: ২ মার্চ, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


নোয়াখালীতে হামলার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের বিবৃতি

   

 

 স্টাফ রিপোর্টার  : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাপুর বাজারে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় ছাত্রশিবির জড়িত নয় বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। এ হামলা স্থানীয় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অভ্যন্তরীন কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ বলে জানানো হয়। উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের জড়ানো হচ্ছে বলে সোমবার এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল সালাহউদ্দিন আইউবী দাবি করেন।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিবাদ বার্তায় বলা হয়েছে, ‘সাংবাদিকতার লেবাসে আবারো নির্লজ্জ দায়িত্বহীনতার নজির সৃষ্টি করল যমুনা টেলিভিশন ও সময় টিভি। প্রতিবেদনে হামলার ঘটনাকে পুঁজি করে তড়িঘড়ি করে কোন প্রকার তথ্য প্রমাণ ছাড়াই মুখস্থ বুলি আওড়িয়ে সেখানে ছাত্রশিবিরের নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি একজন শিবিরকর্মীর নামও প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে পারেনি প্রতিবেদক।’

‘আসল ঘটনা হলো, এ হামলা ছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অভ্যন্তরীন কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ। এ হামলার ব্যাপারে স্থানীয় ১ নং আমানুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি মো. সবুজ নিজেদের কোন্দলের বিষয়টি উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করেছেন এবং এ হামলার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান আরিফকে দায়ী করেছেন। যা ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে এবং এ ভিডিও আমাদের সংগ্রহে রয়েছে। এসব তথ্য যমুনা বা সময় টিভি’র স্থানীয় প্রতিনিধির অজানা থাকার কথা নয়।’

‘তবুও দলীয় প্রতিহিংসামূলক মনোভাব থেকে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তারা এ ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন রচনা করেছে। কতটুকু দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে এমন ঘৃণ্য অপপ্রচার করা যায় তা আমাদের বোধগম্য নয়। এ ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরের দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। সম্পূর্ণ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।’

তারা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীদের কোন অপকর্ম যখন দেশবাসীর কাছে প্রকাশ পায় তখনই এ ধরনের গণমাধ্যমগুলো সে অপকর্মকে আড়াল করতে উঠে পড়ে লেগে যায়। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ধারাবাহিক বর্বরতার জন্য এসব গণমাধ্যমের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণও অনেকাংশে দায়ী। এমন দায়িত্বহীন কর্মকান্ড কোনভাবেই সুস্থ সাংবাদিকতার পরিচায়ক নয়। অন্যায় কাজকে আড়াল করা মানে আরেকটি অন্যায়কে উৎসাহিত করা। দুর্ভাগ্যবশত সময় টিভি ও যমুনা টেলিভিশনের মত কিছু গণমাধ্যমের কাছ থেকে এমন অমানবিক ও দায়িত্বহীন সাংবাদিকতা দেখতে হচ্ছে জাতিকে। যা কোনভাবেই কাঙ্খিত নয়।’

এছাড়া অবিলম্বে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে বানোয়াট প্রতিবেদন প্রত্যাহার, যথাসময়ে আমাদের প্রতিবাদটি প্রচার এবং এ ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক ও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান তারা। 

 


   আরও সংবাদ