প্রকাশ: ২৬ মার্চ, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন
ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন দূতাবাস উদ্বোধন করার আগেই সেখানে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ও জামাই ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও জ্যারেড কুশনার। আজ সোমবার সেখানে পৌঁছান তাঁরা। বিবিসি অনলাইনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে ইভাঙ্কা ও কুশনার দুজন দূতাবাস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন। ট্রাম্প সেখানে যাচ্ছেন না।
জেরুজালেমে ওই দূতাবাস খোলা হচ্ছে। তেল আবিব থেকে দূতাবাস সরিয়ে আনার বিষয়টি ফিলিস্তিনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
ইসরায়েলের ৭০তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে দূতাবাস সরানোর পরিকল্পনা সামনে আনে যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েল জেরুজালেমকে তাদের চিরন্তন ও অবিভক্ত রাজধানী মনে করে। ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে। ১৯৬৭ সালে যুদ্ধের সময় জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েল।
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের স্বীকৃতি কয়েক দশক ধরে চলে আসা যুক্তরাষ্ট্রের নিরপেক্ষ অবস্থানের লঙ্ঘন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলের ৭০তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে দূতাবাস সরানো হচ্ছে। অন্য দেশগুলোকেও জেরুজালেমে রাজধানী সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘এটাই সঠিক হবে। কারণ, এতে শান্তিপ্রক্রিয়া সামনে এগিয়ে নেওয়া যাবে।’
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসি ট্রাম্পের দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণাকে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় চপেটাঘাত বলে মন্তব্য করেছেন।
আপাতত আজ সোমবার জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট ভবনের ভেতর ছোট পরিসরের অন্তর্বর্তী দূতাবাস চালু হবে। তেল আবিব থেকে পুরো দূতাবাস সরানোর পর সেখানে বড় আকারে কার্যক্রম শুরু হবে।
দূতাবাস উদ্বোধনের ওই অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নিতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইভাঙ্কা ও কুশনারের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুনুচিন ও উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী জন সুলিভান সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
ইভাঙ্কা ট্রাম্প এক টুইটে বলেছেন, ‘জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলার ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশ হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল জোটের অপার সম্ভাবনা ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকাংশ রাষ্ট্রদূত ওই অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন। তবে হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, চেক রিপাবলিকের মতো কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতেরা সেখানে যাবেন।
গুয়াতেমালা ও প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্ট সেখানে হাজির হতে পারেন। ট্রাম্পের ঘোষণার পর তারাও জেরুজালেমে দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।