ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

একটি ভাষণ কিভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে স্বাধীনতার জন্য


প্রকাশ: ৬ মার্চ, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


একটি ভাষণ কিভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে স্বাধীনতার জন্য

   

কূটনৈতিক প্রতিবেদক : বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় ইতিহাসের ৭ই মার্চের ভাষণ মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ বলে উল্লেখ করে বক্তাগণ বলেন, একটি ভাষণ কিভাবে গোটা বাঙালি জাতিকে জাগিয়ে তোলে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে বঙ্গবন্ধুর এই  ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ। 

ভারতের আগরতলাস্থও বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদায় ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক দিবস পালিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

শনিবার (৭ই মার্চ) ঐতিহাসিক ভাষণ দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সরকারি হাইকমিশন।

বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে ৭ই মার্চ উপলক্ষে পাঠানো রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। পরে সন্ধ্যায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের পটভূমি এবং ভাষণের ওপর একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

পরে মিশনের প্রথম সচিব দূতালয় প্রধান জাকির হোসেন ভূঁইয়া'র সঞ্চালনায় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব শ্রী শ্যামল চৌধুরী, শ্রী স্বপন ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আগরতলা রাম ঠাকুর কলেজের অধ্যাপক মুজাহিদুর রহমান, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষানুরাগী ডাক্তার আশিক কুমার বৈদ্য প্রমূখ।  

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক মিহির দেব, বিশিষ্ট সাংবাদিক শ্রী অমিত ভৌমিক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গাজী সালাউদ্দিন, মিশনের প্রথম সচিব স্থানীয় এস এম আসাদুজ্জামানসহ অনেকেই।

এতে সহকারী হাই কমিশনার কিরীটি চাকমা তার সমাপনী বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যিনি বাঙালি জাতির বঞ্চনা ও নির্যাতন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বাধীনতা অর্জনের সুদীর্ঘ সংগ্রামের ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরাবাসী বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাও কৃতজ্ঞতা ভরে স্মরণ করেন তিনি।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সিভিল সোসাইটি গণমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং আগারতলা মিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।


   আরও সংবাদ