ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন


প্রকাশ: ৭ মার্চ, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন

   

কূটনৈতিক প্রতিবেদক : বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের এ দিনে র্অথাৎ ৭ই মার্চ বজ্রকন্ঠে সমগ্র জাতিকে উদ্ধুদ্ধ করে স্বাধীনতার এবং সার্বভৌম দেশ প্রতিষ্ঠার জন্য লাখাে জনতার মাঝে তৎকালীন রসের্কোস ময়দান (র্বতমানে সোহরাওর্য়াদী উদ্যানে) ঐতহিাসকি ভাষণ প্রদান করনে। এ ভাষণের মধ্য দিয়েই বাঙালী জাতির স্বাধীন বাংলাদেশের রূপরেখার পরপূর্ণতা লাভ করে। এটি একটি বাংলাদশেরে গুরুত্বর্পূণ জাতীয় ঐতিহাসিক দিন। 

আজ বাংলাদেশ হাইকমিশন অটোয়া এ উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য কিছু কর্মসূচী গ্রহণ করে। এ দিবস উপলক্ষে প্রথমেই বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটির উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রর্দশন করা হয়। এরপর এ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে আমন্ত্রতি অতথিদিরে শোনানো হয়।

অটোয়া তথা কানাডাতে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক কবির চৌধুরী, সাংবাদিক জিয়াউল হক, মুক্তযিোদ্ধা নুরুল হক, অধ্যাপক নিপা ব্যার্নাজী, রিয়াজ জামান, শামসেদ রানাসহ প্রমুখ এ বিশেষ আলোচনায় অংশগ্রহণ করনে। আমন্ত্রতি অতিথিবৃন্দ স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নজিরবিহীন অবদান এবং ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের নানাদিক তুলে ধরেন। বক্তারা সকলেই একমত পোষণ করনে যে, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদশে একটি অবিচ্ছেদ্য নাম।


বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদশেরে স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশের অস্তিত্ব অসম্ভব। সকল আলোচকদের শেষে হাইকমিশনার মহোদয় শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কালজয়ী সেই ভাষণের বজ্রকন্ঠের লাইনটি “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” উল্লখে করে বলনে, দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হওয়ার জন্য এই উক্তিটির কোন বিকল্প নেই।


৭ই মার্চের ভাষণই মূলত স্বাধীন বাংলাদেশের এবং একটি আত্ম- র্মযাদাশীল জাতি হিসাবে বিকশিত হওয়ার মূল প্রোথিত হয়। হাইকমশিনার মহোদয় এ র্পযায়ে উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধুর এ কালজয়ী ভাষণ এতটাই হৃদয়গ্রাহী ও মানবতাবাদী ছিল যে, তা বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে আজ আর্ন্তজাতকিভাবে স্বীকৃত। 

এ কারণে ২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর এ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো তাই এ দিবসটি আজ জাতীয়ভাবেই শুধু নয়, বরং আর্ন্তজাতকিভাবে পালতি হচ্ছে।

হাইকমশিনার এ র্পযায়ে সকলকে আগামী ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতর্বাষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী সর্ম্পকে অবহতি করনে। এ উপলক্ষে অন্যান্য কর্মসূচি বাংলাদেশ হাইকমিশন একটি বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হবে। এছাড়াও কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে জন্মশতর্বাষিকী উপলক্ষে বছর ব্যাপী নানাধরনের অনুষ্ঠান যথা সেমিনার, সিমপোজিয়াম ও সাংস্কৃতকি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।

উপরন্ত ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো এবং নিকারাগুয়াতেও জন্মশতর্বাষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। পরিশেষে হাইকমশিনার মহোদয় সকলকে ৭ মার্চের ভাষণে উজ্জ্বীবতি হয়ে দেশ গঠনে সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।


   আরও সংবাদ