ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

করোনা ভাইরাসের বিষয়টি সরকার গোপন করতে চেয়েছিল : ফখরুল


প্রকাশ: ৮ মার্চ, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


করোনা ভাইরাসের বিষয়টি সরকার গোপন করতে চেয়েছিল : ফখরুল

   

স্টাফ রিপোর্টার : করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব  বলেন, বর্তমান সরকার করোনাভাইরাস নিয়ে এতোদিন কিছু বলেননি।  তারা খুঁজে পায়নি, কি কারনে পাইনি তা জানিনা। হঠাৎ করে কালকে খুঁজে পেয়েছেন। যখন বিদেশি অতিথিরা বাংলাদেশে আসতে অপারগতা প্রকাশ করলেন তখনই এই তিনজনের নাম আসলো।

সোমবার (৯ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 
 আমার ধারণা তারা পুরোপুরি জিনিসটাকে গোপন করার চেষ্টা করেছেন। এ ব্যাধিটি বাংলাদেশে অনেক আগেই এসেছে বলে অনেকের ধারণা। এই ধারণা গুলো সত্যিকার অর্থে এখন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন,  আমরা মনে করি এই বিষয়ে সরকারের যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সেই ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়নি। অবিলম্বে সমস্ত এয়ারপোর্ট গুলোতে, নৌ বন্দর, স্থলবন্দর গুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ থার্মাল স্ক্যানার এর ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন এবং সচেতনতা মানুষের মধ্যে জাগানো।  চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্ধারিত করে দেয়া দরকার। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দুটি গ্রন্থ 'প্রগতি ও সত্যের  সন্ধ্যানে' ও 'মূল্যবোধ অবক্ষয়ের খন্ডচিত্র' প্রকাশনা উপলক্ষে এ অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে মামলায়  বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে এ ধরণের মামলায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা মুক্ত আছেন, জামিন পেয়েছেন। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, একি মামলায় বিচার বিভাগ অন্যদের মুক্তি দেন তখন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন না কেনো? 

পিরোজপুরের জজ বিচারক বিচারক বদলির প্রসঙ্গ টেনে  তিনি বলেন, কোথায় বিচারবিভাগ?  আইন সকলের জন্য সমান অধিকার সে অধিকার গুলো কোথায়? গণতন্ত্রই যদি না থাকে, গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি ধ্বংস করে দেওয়া হয় তাহলে সেখানে কিছুই গড়ে উঠে না। আজকে আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম সেই স্বপ্ন সম্পূর্ণভাবে চুরমার হয়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, কি ধরনের অশালীন কথাবার্তা। স্বয়ং একজন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৪০০ টাকার মেজর তার একদিনের একটা বাঁশির ফুয়ে  স্বাধীনতা আসেনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে, একজন মেজরের বাঁশির সুরে সমগ্র জাতি স্বাধীনতার জন্য এগিয়ে আসে। আপনার তখন কেউ পালন করেছিলেন, কেউ আত্মসমর্পণ করেছেন।

তিনি বলেন, অন্য কে অপমান করার মধ্য দিয়ে মহত্ব গড়ে উঠে না। আজকে স্বাধীনতা যুদ্ধে যাদের অবদান আছে তাদেরকে স্বীকার করে নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমরা দেখেছি দুর্ভাগ্যক্রমে তারা অন্য কাউকে স্বীকার করতে চায় না। না স্বীকার করতে চান, তাজউদ্দিন আহমেদকে,  জেনারেল ওসমানীকে, না  শহীদ জিয়াউর রহমানকে। অন্যান্যদের কথা বাদই দিলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে প্রকাশনা অনুষ্টানে  আরো বক্তব্য রাখেন,  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সাবেক উপচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, প্রফেসর ড. মুসতাহিদুর রহমান, ডেইলী ফিন্যান্সিয়াল হেরাল্ড এর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল প্রমুখ।


   আরও সংবাদ