প্রকাশ: ১২ মার্চ, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : কারা ফটকেই হচ্ছে নতুন বন্দিদের পরীক্ষা, জ্বর বা সর্দি-কাশি হলে রাখা হচ্ছে পৃথক ওয়ার্ডে বাংলাদেশে করােনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার পর থেকে সরকারের পক্ষ থেকে নানাবিধ সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন দিকনির্দেশনাও।
কারা ফটকেই চিকিৎসক দিয়ে নতুন বন্দিদের স্বাস্থ পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাদের ভিন্ন ওয়ার্ডে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এছাড়া কারাগারের ভেতরে কেউ জ্বর, সর্দি- কাশিতে আক্রান্ত হলেই তাকে রাখা হচ্ছে পৃথক ওয়ার্ডে। সেইসঙ্গে বন্দির সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাতের বিষয়েও সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার নুরুন্নবী জানান, এই মুহূর্তে বন্দিদের বলা হচ্ছে যে, স্বজনরা যেন এ সময় দেখা সাক্ষাত কম করতে আসেন। এরপরও জরুরি প্রয়োজন হলে বা কোনো তথ্য থাকলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানালে, কারা কর্তৃপক্ষ স্বজনদের ম্যাসেজ পৌছে দেবে। এর আগে দেশের ৬৮ কারাগারে করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দিকনিদের্শনা দিয়ে জরুরী সার্কুলার জারি করে কারা সদর দপ্তর।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কেকরানীগঞ্জের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের বিষয়ে প্রতিদিন বন্দিদের সতর্ক করা হয়। এর আগে থেকে আমাদের নির্দেশনাও ছিল। প্রতিদিন কারাগার থেকে জামিনে ১৩০ থেকে ১৬০ জন বন্দি বেরিয়ে যান। আবার প্রায় সমসংখ্যক নতুন বন্দি প্রবেশ করেন। প্রতিদিন কারাগারে সমস্ত জায়গায় দুই-তিনবার পরিষ্কার করা হচ্ছে। মাইকিংয়ের মাধ্যমে বন্দিদের করোনা ভাইরাস সম্বন্ধে সতর্কতার মেসেজ দেওয়া হচ্ছে। বন্দিদের জানানো হয়েছে, অতি প্রয়োজন ছাড়া তারা যেন আপাতত স্বজনদের সঙ্গে দেখা না করেন।
কারা মহাপরিদর্শক (আইজি, প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা সাংবাদিকদের বলেন, কোনো বন্দির জ্বর বা সর্দি-কাশি হলে তাকে আলাদা ওয়ার্ডে রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
সতর্কভাবে এটা প্রতিরোধ করতে হবে। এজন্য সমস্ত কারাগারে আগে থেকেই দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। আমি নিজেও বিভিন্ন কারাগার ভিজিট করছি। আজ সিলেটের মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগার পরিদর্শন করেছি এবং সেখানে করোনা ভাইরাস সতর্কতায় দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বন্দিদের জ্বর ও সর্দি-কাশি হলে সতর্কতার জন্য আলাদা ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। কারা চিকিৎসকেরা তাদের চিকিৎসা দিয়েছেন। তারা ক্রমেই ভালো হয়ে যাচ্ছেন। পরে তারা ফের ওয়ার্ডে ফিরে এসেছেন।