ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

কুমিরের চোখে ঘুষি দিয়ে জীবন বাঁচিয়েছে রাকিব


প্রকাশ: ১৫ মার্চ, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


কুমিরের চোখে ঘুষি দিয়ে জীবন বাঁচিয়েছে রাকিব

   

বাগেরহাট প্রতিনিধি : জীবন বাঁচাতে আমি কুমিরের চোখ, নাখসহ মাথায় এলোপাতাড়ি ঘুষি মারতে শুরু করি। একপর্যায়ে কুমিরটি আমার পা ছেড়ে দেয়। আমি তাড়াতাড়ি ওপরে উঠে আসি। পরে বন্ধুরা আমাকে উদ্ধার করে বাগেরেহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার (১৬ মার্চ) দুপুরে খানজাহান আলী দিঘীতে এ ঘটনা ঘটে। 

বিকেলে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শেখ রাকিব বলে, দুপুরে খানজাহান আলী দিঘীর প্রধান ঘাটের সিঁড়িতে গোসল করছিলাম। হাত-পা ও শরীরে পানি দিচ্ছিলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি কুমির এসে আমার ডান পা কামড়ে ধরে গভীর পানিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

আহত রাকিব বাগেরহাটের খানজাহান আলী মাজার সংলগ্ন রনবিজয়পুর গ্রামের জাকিরের ছেলে। সে কে আলী দরগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

রাকিবের বোন জাকিয়া বলেন, দুপুরে প্রতিদিনের মত বন্ধুদের সঙ্গে মাজারের দিঘীতে গোসল করতে যায় রাকিব। সেখানে কুমির তাকে আক্রমণ করে। ও কীভাবে কুমিরের হাত থেকে বাঁচল জানিনা। আল্লাহ-ই আমার ভাইকে বাঁচিয়েছে।

রাকিবের বন্ধু তাহছিন ফকির বলেন, দুপুরে গোসল করতে নামলে রাকিবকে কুমিরটি আক্রমণ করে। অনেক ধ্বস্তাধস্তির পরে সে উপরে উঠে আসে। এসময় অনেক লোক জড়ো হয়। পরে আমরা রাকিবকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।

তাহছিন আরও বলেন, এখন কুমিরের ডিম পাড়ার সময়। আর ডিম পাড়ার সময় কুমির একটু হিংস্র হয়ে যায়। তাই হয়তো কুমিরটি রাকিবকে আক্রমণ করেছে।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফারহান আতিক বলেন, দুপুরে কুমিরের আক্রমণে আহত এক কিশোর হাসপাতালে আসে।কুমিরের কামড়ে তার ডান পায়ের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত হয়েছে। আমরা তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দিয়েছি। এখন সে শঙ্কামুক্ত আছে।


   আরও সংবাদ