ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে


প্রকাশ: ১৬ মার্চ, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে

   

জাপান টোকিও থেকে শিপলু জামান : হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হতো না, আজ ১৭ মার্চ, এই মহান নেতার জন্মদিন। এবছর তাঁর জন্মশতবার্ষিকী। এ উপলক্ষে  সরকার ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ হিসাবে ঘোষণা করেছে। দেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনে বছরব্যাপী নানাবিধ অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। 

সেই প্রেক্ষিতে, বিনম্র শ্রদ্ধা আর অফুরন্ত ভালোবাসা নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর শুভ উদ্বোধন ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২০ উদযাপন করেছে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।     

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দূতাবাসের চার্জ দ্যা এফেয়ারস  ড. শাহিদা আকতার । 

এরপরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে  আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং তাঁদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে চার্জ দ্যা এফেয়ারস ড. শাহিদা আকতারের নেতৃত্বে দূতাবসের কর্মকর্তা - কর্মচারীগণ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পাস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। 

চার্জ দ্যা এফেয়ারস ড. শাহিদা আকতার, তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা ও মুক্তির দূত। দেশে-বিদেশে যে যেখানেই আছেন, তিনি সবাইকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।  

পরে বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের উপর উম্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিগণ এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এসময় তাঁরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিশন-২০৪১’ বাস্তবায়ন করে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।  এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের উদ্দেশ্যে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলোনায়তনকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হয়। উল্লেখ্য, চলমান কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে সতর্কতা হিসাবে এবছর অনুষ্ঠানটিতে শিশুকিশোরদের অংশগ্রহণসহ ইতোপূর্বে গৃহীত বিভিন্ন করমসূচী সীমিত করা হয়েছে।


   আরও সংবাদ