ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চৌগাছায় বিয়ের চার মাসেই সন্তান প্রসব অতঃপর!


প্রকাশ: ১৯ মার্চ, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


চৌগাছায় বিয়ের চার মাসেই সন্তান প্রসব অতঃপর!

   

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি :  যশোরের চৌগাছায় বিয়ের চার মাসেই সন্তানের জন্ম দিয়ে মেরে ফেললেন রেশমা খাতুন (২০) নামে এক মা। বুধবার উপজেলার পুড়াপাড়া-ক্লাবপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

এ বিষয়ে পুলিশ বাদি হয়ে চৌগাছা থানায় হত্যা মামলা করেছে। ঘাতক মাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত চার থেকে পাঁচ মাস আগে উপজেলার পুড়াপাড়া-ক্লাবপাড়া গ্রামের নাজমুল হোসেনে সাথে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হরিপুর গ্রামের রেশমা খাতুনের (২০) বিয়ে হয়। 

বুধবার রাতে রেশমা প্রসবযন্ত্রণা উঠলে শ্বশুরবাড়ির কাঁচা (গর্তখুড়ে তৈরি গ্রাম্য বাথরুম) বাথরুমে যায় এবং বাথরুমেই তার সন্তানের ডেলিভারি হয়ে যায়। 

এসময় সে ওই সন্তানকে হত্যা করে একটি কাপড়ে জড়িয়ে কাঁচা বাথরুমের হাউজে ফেলে দেয়। ওই সময় কান্নার শব্দ শুনে ফেলেন রেশমার নানি শ্বাশুড়ি। পরে বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি রেশমার কাছে জানতে চায় পরিবারের সদস্যরা। 

এসময় সে অস্বীকার করলে বলা হয় তোর পেটের টিউমার কোথায় গেল? রাতে বাচ্চার চিৎকার শুনলাম, কি করলি? পরিবারের সদস্যদের চাপাচাপির এক পর্যায়ে সে সন্তান জন্মের বিষয়টি স্বীকার করে। তখন বাড়ির লোকজন বাথরুমের মধ্যে লাঠি দিয়ে ঘুটে সন্তানের অস্তিত্ব খুঁজে পায়। 

এরপর বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে চৌগাছা থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রেশমাকে আটক করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এবং নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালের সনদ নেয়ার পর আজ বেলা ১২ টার দিকে চৌগাছা থানা পুলিশ রেশমার বিরুদ্ধে সন্তান হত্যার অভিযোগে মামলা করে। যার নম্বর ২২। 

আজ দুপুরে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রেশমাকে আদালতে পাঠানো হয়।

চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজীব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ওই নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রেশমা স্বীকার করে সে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করার সময়ে দুই ব্যক্তির সাথে তার দৈহিক সম্পর্ক হয়।

সন্তানটির প্রকৃত বাবা কে তা সে নিশ্চিত করতে পারেনি। বিয়ের সময় প্রেগন্যান্সির বিষয়টি লুকিয়ে তার পেটে একটি টিউমার রয়েছে বলে ছেলে পক্ষকে বলা হয়। 

তিনি বলেন, এঘটনায় রেশমার বিরুদ্ধে সন্তান হত্যার দায়ে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছে। এবং ওই মামলায় রেশমাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে।


   আরও সংবাদ