ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

'বাঁধন' সরকারি তিতুমীর কলেজ ইউনিটের উদ্যোগে বিনামূল্যে স্যানিটাইজার বিতরণ


প্রকাশ: ২১ মার্চ, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


'বাঁধন' সরকারি তিতুমীর কলেজ ইউনিটের উদ্যোগে বিনামূল্যে স্যানিটাইজার বিতরণ

   

তিতুমীর কলেজ থেকে আসিফ : করোনার আতঙ্কে পুরো বিশ্ব। মহামারি এই ভাইরাসে মৃত্যু ১১ হাজার পেরিয়ে। এ আতঙ্কে বাদ যায়নি বাংলাদেশও। ২৪ আক্রান্তের সাথে রয়েছে ২ জনের মৃত্যুর সংবাদ। এ আতঙ্কে বাংলাদেশে চলছে বস্তাভর্তি করে পণ্য ঘরে তোলার তীব্র প্রতিযোগীতা। অসাধু ব্যবসায়ীরা এ সুযোগে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে পকেট ভারি করছেন। 

তবুও মানবতা নামে যে শব্দটি রয়েছে তা এখনো দেখা মিলে এ ভূ- খন্ডে। কয়েক ডাক্তার করোনার ভয়ে ডাক্তারি ছেড়ে দিয়েছেন আবার কেউ নিজ জীবনকে বাজি রেখে সুস্থ করে তুলছেন করোনা আক্রান্ত রোগীদের। কেউ অধিক মুনাফার লক্ষ্যে দিচ্ছেন সুরক্ষা সামগ্রীর দাম বাড়িয়ে আবার দেখা মিলে বিনামূল্যে  জন - সাধারণদের মাঝে এসব পণ্য বিলিয়ে দিচ্ছেন অনেকে।

এইরকমই মানবতার একটি সংগঠনের নাম 'বাঁধন'। যারা বিভিন্ন প্রতিকূলে রক্ত জোগাড় করে দেয় নানান অজানা মানুষদের।  

এ করোনার আতঙ্কে বসে নেই তারা। 'বাঁধন' সরকারি তিতুমীর কলেজ ইউনিটের উদ্যোগে ক্যাম্পাসের কর্মচারি থেকে শুরু করে জন- সাধারণদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করেছে নিজদের হাতে প্রস্তুত হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন। হাতে ধরে শিখিয়েছেন এর ব্যবহার।

'বাঁধন' সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখার সহ- সভাপতি আফরোজা আক্তার তন্নির সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের এ উদ্যোগের কথা। তিনি বলেন, আমরা ৫০ মি.লি. বোতলে ১৭৫ টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত করে তা কলেজের স্টাফ, কলেজের সামনে ছোট দোকান গুলোর দোকানদার, রিকশাচালক, সিএনজি চালক, মিস্ত্রি  এবং সিকিউরিটি গার্ডদের মধ্যে বিতরণ করি। এছাড়াও ১৫ টি স্যানিটাইজার কলেজে অবস্থিত মসজিদে দেয়া হয় জন - সাধারণদের জন্য।

বিতরণের সময় জন - সাধারণের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তন্নি বলেন,  বিতরণ কালে তাদের কে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এর নিয়ম এবং প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে এর ব্যবহার বুঝত না।

তাছাড়া তাদেরকে করোনা ভাইরাস এর মোকাবিলায় কি কি করনীয় সে বিষয়গুলোর ব্যাপারে সচেতন করা হয়েছে।  তারা সবাই এরজন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

বাঁধনের এমন ব্যাতিক্রমি উদ্যোগে সাধারণ মানুষদের থেকে কেমন সাড়া পেলেন এমন প্রশ্নের জবাবে বাঁধন সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি  সানজিদা আফরোজ সোনিয়া বলেন, আজ ভালই সারা পেয়েছি যাদের বুঝালাম তাদের মধ্যে একটি পজিটিভ মনোভাব ছিলো। এবং হ্যান্ড স্যানেটাইজিং এর গুরুত্ব বুঝতে ছিলো।  অনেকে আবার বলছিলেন আমাদের না দিয়ে যাদের কেনার ক্ষমতা নেই তাদের দিন। সর্বপরি একটি সচেতনতা  বিরাজ করছিল।

'বাঁধন' সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখার পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদক এনামুল হাসান বলেন, আপনারা জেনে থাকবেন বাঁধন সব সময় মানবতার সেবায় এক ধাপ এগিয়ে।

তারই ধারাবাহিকতায় দেশের জনসাধারণ  যখন করনায় আতঙ্কিত তখন বাঁধন কর্মীরা তাদের সামর্থ অনুযায়ী চেষ্টা করে আজ জনসচেতনতা মূলক হিসেবে বিনামুল্যে হ্যান্ড সেনিটাইজার ও সতর্কতা ক্যম্পেইন করেছে। বাঁধন কর্মীরা তাদের আর্থিক দিকে বিবেচনা করে সল্প পরিমাণ বিতরণ করেছে।

তবে কলেজ প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে বাঁধন কর্মীরা আরও বড় পরিশরে এ কাজ করতে চায়।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন 'বাঁধন' সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখার উপদেষ্টা শাহাবুদ্দিন বাবু, তথ্য ও শিক্ষা সম্পাদক সুমাইয়া সিদ্দিকা শান্তনা সহ বাঁধনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীরা।


   আরও সংবাদ