ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১১৭ জনের, মোট ৪৫২


প্রকাশ: ২২ মার্চ, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১১৭ জনের, মোট ৪৫২

   

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীন অনেকটাই সামলে নিয়েছে। কিন্তু ইতালিকে দিন দিন মৃত্যুপুরী বানিয়ে ছাড়ছে করোনা ভাইরাস। এরপর ইরানে তো শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতার উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য কাউকেই ছাড় দেয়নি রোগটি। স্পেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যেও প্রাণহানির ঘটনা বেড়েই চলেছে।

চীনে যখন এ রোগে প্রাণহানির ঘটনা বেড়ে যাচ্ছিলো তখন নিজেদের সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে কভিড-১৯কে ঠেকানোর কথা বলে আসছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু যখনই রোগটির বিস্তার শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের দম্ভ চুরমার হয়ে গেলো বালির প্রাচীরের মতো। দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১১৭ জনের। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৫২ জনের মৃত্যু হলো।

রোববার (২২ মার্চ) এসব তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম। দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৭১৭ জন। অপরদিকে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা মাত্র ১৭৮। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। 

দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ১৫০ মৃত্যু হয়েছে নিউইয়র্ক সিটিতে। এরপর ওয়াশিংটনে ৯৫, ক্যালিফোর্নিয়ায় ৩৫, জর্জিয়ায় ২৩, নিউজার্সিতে ২০, লুইজিয়ানায় ২০, ইলিয়ন্সে ৯, মিশিগানে ৯, ফ্লোরিডায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সব অঙ্গরাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। অধিকাংশ অঙ্গরাজ্যে কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রাণ গেছে অনেকের।

২০১৯ সালের শেষদিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ১৯২ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে গেছে কভিড-১৯। প্রথমদিকে চীনে মৃত্যু বেশি হলেও এখন দেশটিকে ছাড়িয়ে গেছে ইতালি। ইতালিতে মোট প্রাণ গেছে ৫ হাজার ৪৭৬ জনের অপরদিকে চীনে ৩ হাজার ২৭০। এরপর ইরানে প্রাণ গেছে ১ হাজার ৬৮৫ জনের। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ইউরোপকে কভিড-১৯ এর কেন্দ্রস্থল ঘোষণার পর থেকেই মহাদেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। স্পেনে ১ হাজার ৭৭২, ফ্রান্সে ৬৭৪, যুক্তরাজ্যে ২৮১, নেদারল্যান্ডসে ১৭৯, সুইজারল্যান্ডে ৯৮, জার্মানিতে ৯৪ জনসহ ইউরোপের প্রায় প্রত্যেকটি দেশে প্রাণহানির ঘটনা বাড়ছে। সবমিলিয়ে বিশ্বজুড়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৬৫৫ জনের। মোট আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৩৮ হাজার। চিকিৎসা নিয়ে ‍সুস্থ হয়েছে প্রায় ৯৯ হাজার মানুষ।


   আরও সংবাদ