ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ ভাদ্র ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাধীনতা দিবসে তারুণ্যে প্রত্যাশা


প্রকাশ: ২৫ মার্চ, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


স্বাধীনতা দিবসে তারুণ্যে প্রত্যাশা

   


রাব্বি হাসান : স্বাধীনতা আমারই স্বাধীনতা
১৯৭১সালের ২৬ই মার্চ বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিলো নতুন করে,সেদিন বাংলার মানুষ দেখেছিল তীব্রভাবে অর্থনৈতিক,রাজনৈতিক,সামাজিক মুক্তির বার্তা।

প্রতিটি ২৬ই মার্চ প্রতিটি বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে প্রেরণা,সংগ্রাম আর আত্মা ত্যাগের মহান সেই অনুভূতি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান,রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১সালের ২৫ই মার্চ কালো রাতে অত্যাচারি পাকিস্তান বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে ২৬ই মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই সৃষ্টি করেছিলেন নতুন এক ইতিহাস স্বাধীন বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ সৃষ্টিতে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রেখেছিল তরুণ প্রজন্ম। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে এসেছিল তরুনরা। 

শক্ত মনোবল,সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আর্দশ ও দিক নির্দেশনায় জীবনের তোয়াক্কা না করে যুদ্ধের ময়দানে নেম পড়ে এদেশে তরুন ছেলেরা। হাতে রাইফেল,চোঁখে স্বাধীনতার স্বপ্ন,ভাঙা চালে বৃদ্ধ মা-বাবা,দিগন্ত খোলা মাঠে খেলাধুলা,এমন হাজারো স্বপ্ন বুকে বেঁধে পাকিস্তানের অত্যাচারি শাসকের বিরুদ্ধে এদেশের তরুনরা যুদ্ধের ময়দানে নিজেদের সপে দিয়েছিলো।
তাদের এই মহান ত্যাগে পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। বর্তমানে স্বাধীন বাংলাদেশ ভুলেনি তাদের সংগ্রাম,ত্যাগ, আর দেশাত্মবোধ।স্বাধীনতার,মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণায় এখনো এই দেশের তরুন রা স্বপ্ন দেখে।

২৬ই মার্চ স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে- কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা আ.হ.ম আব্দুল হান্নান সাহেব বলেন- আমি যখন ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছি তখন তরুন ছিলাম,বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি দীর্ঘ নয় টি মাস। এখন সেই সোনালী দিন গুলোর কথা,বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ,স্বাধীনতার ঘোষণার প্রতিটি শব্দ আমার কানে ভেসে উঠে।যুদ্ধ করেছে না খেয়ে,লতাপাতা খেয়ে,নোংরা পানি খেয়ে তাতে কষ্ট নেই বিনিময়ে পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। আমার দেশ বাংলাদেশ।

স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে  দেশপ্রেমিক তরুন মোঃ সাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা এখনো স্বাধীনতার কথা,বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা বুকে ধারন করি,বঙ্গবন্ধুর দেখানো আদর্শকে সামনে রেখে দেশের কল্যানে নিজেদের বিলিয়ে দেই,আমরা দ্বিধাহীন বলতে পারি আমাদের একজন বঙ্গবন্ধু ছিল।

স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে তরুন নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও দেশ প্রেমের কারনে,তিনি শিখেছেন কিভাবে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হয় কিভাবে দেশের মানচিত্র স্বৈরশাসকের হাত থেকে ছিনিয়ে আনতে হয়,আমরা তরুনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো করে যেতে চাই এই বাংলার মানুষের জন্য।আমরা শ্রম,মেধা,দিয়ে এদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে চাই।

তরুন মোঃ ফাহিম হাসান বলেন, স্বাধীনতা শব্দটি শুনলেই  হাজারো তরুনের স্বপ্ন,ইচ্ছে, দেশ প্রেমের কথা মনে পড়ে।আমরা তরুন হিসেবে এ দেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চাই,দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই,বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া স্বপ্ন পূরণ করার দায়িত্ব আমাদেরই।

স্বাধীনতা তুমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন দেখা দেশ
তারুণ্যের শক্তিতে তোমায় সুন্দর রাখবো বেশ।


   আরও সংবাদ