ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পহেলা বৈশাখ উদযাপনের অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে প্রদানের দাবী জবিসাকে'র


প্রকাশ: ৩১ মার্চ, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


পহেলা বৈশাখ উদযাপনের অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে প্রদানের দাবী জবিসাকে'র

   

জবি প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পহেলা বৈশাখ উদযাপনের অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে প্রদানের দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। 

বুধবার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি ফাইয়াজ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মাহাদী সেকেন্দার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, চলমান বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত গোটা বিশ্ব। চলছে বৈশ্বিক এক সংকট।বাংলাদেশও এ সংকটের বাইরে নয়। ইতোমধ্যে করোনাজনিত কারণে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। 

বিভিন্ন এলাকা লকডাউন এবং সাধারণ জনগণকে ঘরে থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। এর ফলে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী, দিনমজুর তাদের দুর্ভোগ চরমে। এক মানবিক বিপর্যের সম্মুখীন বলা চলে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মানবিক সংকটে বিভিন্ন সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মানবিক সংকট মোকাবেলায় বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আয়োজনের বাজেটের একটি বৃহৎ অংশ রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ব্যায় করে বিগত সময়ে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এছাড়া পদ্মাসেতু নির্মাণে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে।

তারা আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে করোনা সংকট মোকাবেলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য মানবিক দৃষ্টিতে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন। 

এটি প্রশংসার দাবি রাখে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি দাবি রাখছে আসন্ন পহেলা বৈশাখের জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গতির মধ্যে রেখে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আর্থিক অনুদান প্রদান করে চলমান সংকটে আর্তমানবতার ডাকে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সবসময় বিশ্বাস করে  সাধারণ মানুষ বেঁচে থাকলে দেশীয় সংস্কৃতি বেঁচে থাকবে।সুতরাং মানুষের পাঁশে দাঁড়ানো আমাদের মানবিক দায়িত্ব। আমাদের ডাকে সাড়াদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণতহবিলে আর্থিক সহয়তা প্রদান করবে বলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বিশ্বাস করে।


   আরও সংবাদ