প্রকাশ: ৩ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বেশি সময় নিতে চাই না, কিটসের কোনও সংকট নেই। পরীক্ষা চালিয়ে যাবার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশে এখন প্রায় ১৪ থেকে ১৫টি জায়গায় পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় পরীক্ষা শুরু হবে।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) কোভিড-১৯ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সংযুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,‘পরীক্ষা করা খুবই জরুরি এবং আমরা আশা করি, পরীক্ষা করার জন্য আসবেন। পরীক্ষা করলে নিজেও নিরাপদে থাকা যাবে নিজের অবস্থা জানা যাবে এবং সুরক্ষিত রাখা হবে পরিবারকেও। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান,কয়েকটি হাসপাতালে কেবল করোনাভাইরাসের জন্যই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাঁচি-কাশির রোগীরা সেসব হাসপাতালে যাবেন এবং চিকিৎসা পাবেন। এসব হাসপাতালে অনেক ভেন্টিলেটরসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সেটআপসহ সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে ডেডিকেটেড অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,‘এসব অ্যাম্বুলেন্স এসব রোগীদের আনা নেওয়া করবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন,‘পরীক্ষার মাধ্যমেই জানা যায়, কত মানুষ সামাজিকভাবে সংক্রমিত হয়েছেন। তাই পরীক্ষা করা খুব জরুরি।’স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,তাই এখনই সময় প্রতিরোধ করার। বর্তমান অ্যাকশনের ওপরে ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। আমরা এখনও ভালো আছি, ভালো থাকতে চাই, সবাই মিলে যদি কাজ করি তাহলে অবশ্যই ভালো থাকবো। সেটা সম্ভব হবে যদি কোয়ারেন্টিন মেনে সবাই ঘরে থাকি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি। সব নিয়ম মেনে চলা হয়।
এসময়ে তিনি বলেন,‘পরীক্ষা করাতে দোষ বা সামাজিক বাধা নেই। আর পরীক্ষা করলেই করোনাভাইরাসকে চিহ্নিত করে ধীরে ধীরে একে নির্মূল করা যাবে। যখন বাইরে যেতে হবে, অবশ্যই মাস্ক পরে যেতে হবে।
এটা দুনিয়াজুড়েই প্র্যাকটিস এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন’, চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যথেষ্ট পারাসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) রয়েছে। সব হাসপাতালে পিপিই দেওয়া হয়েছে।
এসময় সংবাদ সম্মেলেন উপস্থিত ছিলেন অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।