প্রকাশ: ৫ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই এ অধিবেশন আহ্বান সম্পর্কিত প্রস্তাব গেছে। ইতিপূর্বে আহ্বান করা বিশেষ অধিবেশন করোনার কারণে বাতিল করা হলেও এ অধিবেশন আহ্বানের বিকল্প কোনো হাতে নেই সংসদের কাছে।
সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদে অনুযায়ী, সংসদের এক অধিবেশনের সমাপ্তি ও পরবর্তী অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের মধ্যে ৬০ দিনের অতিরিক্ত বিরতি থাকবে না। তবে রাষ্ট্রপতি এ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর লিখিত পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন। কার্যপ্রণালী বিধি দ্বারা বা অন্যভাবে সংসদ যেভাবে নির্ধারণ করবে, সংসদের বৈঠক সে সময়ে ও স্থানে অনুষ্ঠিত হবে।
চলতি সংসদের সর্বশেষ ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হয়েছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। সে হিসেবে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সংসদের অধিবেশন শুরুর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সংসদ সচিবালয়, ১৮ এপ্রিল অধিবেশন আহ্বানের তারিখ চূড়ান্ত করে প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ আজ কালের মধ্যে এ অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন বলে এমন টা ধারণা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সংবিধান অনুযায়ী সংসদ অধিবেশন বসতে হবে।’
স্পিকার আরো জানিয়েছেন, অধিবেশনের বিষয়ে প্রচলিত ধারার বাইরে বিকল্প কোনো পদ্ধতিতে অধিবেশন কার্যক্রম চালানো যায় কি-না তা’ও ভাবা হচ্ছে।
সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দৈব দুর্বিপাকে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর সুযোগ থাকলেও অধিবেশনের বিষয়ে সে সম্পর্কিত কোন সুযোগ না থাকায় অধিবেশন আহ্বানের বিকল্প কিছু নেই।
তবে অধিবেশন কার্যক্রম টেলিভিশন লাইল ছাড়াও অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করা হবে। এতে আইন প্রণেতার বাইরে অন্য কাউকে সংসদে প্রবেশ করতে না-ও দেয়া হতে পারে। একই সঙ্গে সিটি এ্যারেঞ্জমেন্ট দূরত্ব নিশ্চিত করে করা হতে পারে।