ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাত দিন নেই ফোন পেলেই ত্রাণ নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন গোলাম রাব্বানী


প্রকাশ: ৯ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


রাত দিন নেই ফোন পেলেই ত্রাণ নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন গোলাম রাব্বানী

   

বিএন নিউজ ডেস্ক : সারাবিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারীতে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ শে মার্চ থেকে বাংলাদেশেও লকডাউনে আছে। দেশের এই ক্রান্তিকাল সময়ে সবাই এগিয়ে আসছেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে। আর এর ধারাবাহিকতায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেধাবী ছাত্রনেতা গোলাম রাব্বানী।

আর জাতির এই ক্রান্তিকালে মুহূর্তে পিছিয়ে নেই ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী রাত নেই, দিন নেই। যে কোন মুহূর্তে যে কোন জায়গা থেকে ফোন পেলেই ছুটে যাচ্ছেন তার ব্যক্তি ফান্ডের ত্রাণ নিয়ে অসহায়দের দুয়ারে।

অসহায়দের এমন চিত্র দেখে অনেককে টেনে নিচ্ছেন নিজের বুকে। তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন উপহারস্বরুপ ত্রাণ। এই অসহায়দের মুখে হাসি দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে যাচ্ছে এই মেধাবী ছাত্রনেতা।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেধাবী ছাত্রনেতা গোলাম রব্বানীর পুরো ফেসবুক স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে একটা অপরিচিত নাম্বারের কল পেলাম। বললো, ভাই আপনি অনেককেই হেল্প করছেন, কল্যাণপুরে স্বামী-স্ত্রী মিলে একটা চাইল্ড কেয়ার ও বৃদ্ধাশ্রম চালায়, কোন সরকারি সাহায্য নেই, এই লকডাউনে কেউ খোঁজ নেয় নাই, পারলে হেল্প কইরেন।

নাম্বার নিয়ে তৎক্ষনাৎ কথা বললাম পরিচালক মিল্টন সমাদারের সাথে। ঘন্টাখানেক পর গেলাম সেখানে, সরেজমিনে দেখে আসলাম হতভাগ্য ৭২ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও ৮ জন অভিভাবকহীন অসুস্থ প্রতিবন্ধী শিশুদের। যাদের দেখভাল বা খোঁজ নেয়ার একদম কেউ নেই, এখানে মূলত তাঁদেরই জায়গা হয়।

সন্তান পরিত্যাক্ত অসহায় বাবা-মায়ের দৃষ্টির শূন্যতা আর কষ্টের কথা শুনলে চোখের পানি আটকাতে পারবেন নাহ! কলেজ শিক্ষক, ডাক্তার, উচ্চশিক্ষিত, অনেক সম্পদের মালিক ছিলো, অথচ শেষ বয়সে সন্তানরা আর দায়িত্ব নেয় না, খোঁজ নিচ্ছে না। 

এক মায়ের পাঁচ সন্তান (৩ মেয়ে, ২ ছেলে) লন্ডন প্রবাসী, আর মাকে এক রাস্তায় ফেলে চলে গেছে। আরেক অসুস্থ বাবাকে পুরান ঢাকার বড় ব্যবসায়ী সন্তান বাড়ি লিখে নিয়ে কাওরানবাজার বরফ কলে ফেলে রেখে গেছেন, গাইবান্ধার এক বৃদ্ধ মায়ের জমি নিজেদের নামে লিখে নিয়ে মাকে ত্যাগ করেছে দুই অভাগা ছেলে... প্রায় প্রত্যেকেরই রয়েছে এমন হৃদয় বিদারক করুণ কাহিনী।

হায়রে হতভাগা সন্তান! যিনি জন্ম দিয়েছেন, কত কষ্ট-শ্রম-ঘামে বড় করেছেন.. যে মায়ের পায়ের নিচে জান্নাত, যে বাবার সন্তুষ্টিতে স্রষ্টার সন্তুষ্টি, সেই অমূল্য ধন পিতামাতাকে কি নির্দয়ভাবে পরিত্যাগ করেছে!

উপহার হিসেবে ২ বস্তা চাল, ১ বস্তা ডাল, চিনি, পর্যাপ্ত সাবান, মাস্ক আর কিছু নগদ অর্থ দিয়ে এসেছি।

সেই সাথে ওখানকার একজন উপদেষ্টা সদস্য হিসেবেও নাম লিখিয়ে আসলাম, অনাগত আগামীতে সাধ্যমতো এই অসহায় বাবা-মা ও অভিভাবকহীন প্রতিবন্ধী শিশুদের পাশে থাকবো। "ইনশাআল্লাহ"

#ঠিকানাঃ চাইন্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ার; ৪৬২, দক্ষিণ পাইকপাড়া, কল্যাণপুর, মিরপুর।

গোলাম রাব্বানীর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে সংগৃহীত।


   আরও সংবাদ