প্রকাশ: ৯ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা : প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর এমন ফাক ফকর পেয়েই নিচিন্তায় ১৫টি অবৈধ ইটভাটা চালু করে দিয়েছে ভাটা মালিকরা।
অথচ উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে কোনো ভাবেই সিটি কর্পোরেশরনের এলাকায় ইটভাটা চলবে না। মানছে না আদালতের নির্দেশনা। রাতের অন্ধকারে কিছু অসাধু ভাটা মালিকরা আইনের তোয়াক্কা না করেই ফের ভাটায় আগুন দিয়ে বসেছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ি ও মির্জাপুর কারখানা বাজার এলাকায় ভেঙে দেয়া অবৈধ ইটভাটা ফের আগুন দিয়ে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে ইট।
ইতিপূর্বে এসব ইটভাটা উচ্চ আদালতের নির্দেশে বেশ কয়েকবার ভেঙেও দেয়া হয়েছিল।
তবে সচেতন মহল বলছেন, আইনী কঠোর পদক্ষেপ না থাকায় আর সরকারি অফিস আদালত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় তাঁরা ফাক ফকর পেয়েই ভাটায় আগুন দিয়েছেন। নির্বিঘ্নে কয়লার বদলে কাঠ পুড়িয়ে বন উজাড় করে দিচ্ছে।
সূত্রে জানায়, এসব ইটভাটা চালুর পিছনে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিস জড়িত রয়েছে। চালু করা ভাটাগুলো হচ্ছে, নগরীর কোনাবাড়ি বাইমাইলে রমিজ উদ্দিনের (বলাকা ব্রিক্স), রাজাবাড়ির মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল মালেকের দুইটি (৮৮৮ ব্রিক্স) , বাঘিয়ার আব্দুল মালেক সরকারের বাঘিয়া ন্যাশনাল ব্রিক্স (বিএনবি), জয়েরটেক এলাকায় আব্দুস সাত্তার পালোয়ানের (মা ব্রিক্স), মির্জাপুর কারখানা বাজার এলাকায় রফিকুল ইসলামের (জাপানী ব্রিক্স), মজনু মিয়ার (কাজী ব্রিক্স), খোকন মিয়ার (রানা ব্রিক্স), মাহাবুব আলমের (আরসিআর ব্রিক্স), শাহাজান মিয়ার (একতা), ফজলু মিয়ার (মানিক ব্রিক্স), আতাবুল্লার (ঢাকা ব্রিক্স) ও রুবেল মিয়ার (এমটিবি ব্রিক্স), নাছির উদ্দিনের (মাওনা) ব্রিক্স নতুন করে আগুন দেয়া হয়েছে।
গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুস সালাম সরকারের মুঠো ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস. এম. তরিকুল ইসলামের মুঠো ফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গেল-ডিসেম্বরে মাসে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ এর আশের-পাশের সকল অবৈধ ইটভাটা ১৫ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন হাইকোর্ট। এ নির্দেশনা পেয়েই ভ্রাম্যমাণ আদালত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশকয়েকটি ইটভাটা ভেঙে দেন এবং সেই সঙ্গে অর্ধকোটি টাকার বেশি জরিমানা করেন।
পরিচালক (মনিটারিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট) বেগম রুবিনা ফেরদৌসী জানান, এখনতো করোনা ভাইরাসের কারণে বেরও হতে পারছি না কিন্তু বিষয়টি তো জেলা প্রশাসন দেখবেন। বৈধ-অবৈধ কোনোটাও এখনতো চালার কথা নয় বিষয়টি দেখছি।
বলাকা ব্রিক্স এর মালিক রমিজ উদ্দিন বলেন, হাইকোর্ট ১৫ দিনের মধ্যে পরিবেশে অধিদপ্তরে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করতে বলছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত আবেদন করেছি তবে কোনো অনুমোদন দেয়নি।