ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের জন্য আইনি নোটিশ


প্রকাশ: ১০ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের জন্য আইনি নোটিশ

   

স্টাফ রিপোর্টার : অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তুত করে সারাদেশে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ পরিচালনার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ই-মেইলের মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।

সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালকে নোটিশে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণের প্রেক্ষিতে অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী এই মূহূর্তে আতঙ্ক এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। সল্প আয়ের মানুষ, দিন মজুর, রিকশা চালক থেকে শুরু করে নানা পেশার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার লজ্জায় মুখ ফুটে সাহায্য চাইতে পারছে না। এসব পরিবারে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য, ওষধের অভাব দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন পত্র- পত্রিকা, টিভি মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে এ সংক্রান্ত নানান খবর প্রকাশ পেয়েছে। এই অবস্থায় সরকারের দায়িত্ব অর্থনৈতিক ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তুত করে তাদের নিকট খাদ্য ও ঔষধ সামগ্রী পৌছে দেওয়া।

নোটিশে আরও বলা হয়, যদিও দাবি করা হচ্ছে দেশে খাদ্য সংকট নেই, তথাপি যথাযথভাবে এই খাদ্যের সরবরাহ এবং বিতরন নিশ্চিত করতে না পারলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ সমস্যা দেখা দিতে পারে। করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হলে এই ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অন্তত খাদ্য এবং নিত্য প্রয়োজনীয় ঔষধের নিশ্চয়তা সরকারকে দিতে হবে। রাষ্ট্রের কাছ দুর্যোগ কালে এই সহায়তা পাওয়া নাগরিক অধিকার।

এই ক্ষেত্রে অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তুতে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া খাদ্য এবং ঔষধ সরবরাহ কাজের দায়িত্বও সেনাবাহিনীকে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ইতোপূর্বে নানা দুর্যোগে সেনাবাহিনী সাফল্যের সাথে সরকারকে সহায়তা করেছে এবং জন সাধারণের আস্থা অর্জন করেছে। কেন না এরই মধ্যে ত্রাণ কাজে বিভিন্ন অনিয়ম, নির্বাচিত প্রতিনিধি কর্তৃক চাল চুরি ও মজুদ এবং সমন্নয়হীনতা লক্ষ্য করা গেছে। এই পর্যায়ে একমাত্র সেনাবাহিনীর মাধ্যমে এই ত্রান বিতরণ এবং সরবরাহের কাজ যথাযথভাবে পরিচালনা সম্ভব বলে নোটিশে বলা হয়েছে।

জন সাধারণের মধ্যে আতঙ্ক এবং অনিশ্চয়তা দূর করতে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে অর্থনৈতিক ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তুত করে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তাদের নিকট খাদ্য ও ঔষধ সামগ্রী পৌঁছানোর দাবি জানিয়েছেন নোটিশকারী আইনজীবী।


   আরও সংবাদ