ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ফোন পেলেই অরেঞ্জ আর্মি বিডি সংগঠন খাবার পৌঁছে দিচ্ছে বাসায়


প্রকাশ: ১১ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


ফোন পেলেই অরেঞ্জ আর্মি বিডি সংগঠন খাবার পৌঁছে দিচ্ছে বাসায়

   

বিশেষ প্রতিবেদক : বর্তমান সময়ে করোনা পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া মানুষদের মধ্যেখাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এতে ঢাকা সিটিতে শ্রমজীবী দিনমজুর, রিকশা চালক, নিম্ন আয়ের ও ভিক্ষুক পরিবার খাবার যোগান দিতে রীতি মতো বিপাকে পড়েছেন তারা। আর এই অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে ছুটে এসেছে অরেঞ্জ আর্মি বিডি নামের সামাজিক সংগঠনের ৫ তরুণ সদস্য। 

গত ২৩ শে মার্চ থেকে শুরু করে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা সিটির বিভিন্ন স্পটে দিনমজুর, রিকশাচালক ও ভিক্ষুকসহ ১ হাজার ৯৭৫ টি পরিবারের মাঝে করোনা সচেতনতা ও প্রায় দশ দিনের খাবার উপহার দেয় সংগঠন।

পরবর্তীতে দেখা যাচ্ছে এক জায়গায় একত্র করে খাবার প্রদান করা মারাত্মক ঝুকির মধ্যে থাকে সবাই। কেননা, খাবার বিতরণ করার সময় অনেক মানুষ একসাথে অবস্থান করে থাকে। যার ফলে এখান থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ানো সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।

তাই অরেঞ্জ আর্মি বিডি সদস্য নাজমুল হাসানের সিদ্ধান্তে আমরা বাইকে করে বাসায় বাসায় গিয়ে খাবার পৌছে দিয়ে আসবো। তাহলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না বলে মনে করা হয়। 

যোবায়ের হাসান সাকিল বলেন, হাসানের সিদ্ধান্তে আমরা একটি ফেইসবুক পেইজ ও একটি হট লাইন নাম্বার চালু করি। যার মাধ্যমে মানুষ আমাদের সাথে এসএমএস ও ফোন কলে যোগাযোগ করে। তারপর আমরা বাসার ঠিকানা নিয়ে চলে যাই তার বাসায় খাবার নিয়ে যায়।

নতুন আঙ্গিনায় এই কার্যক্রমটি ৪ এপ্রিল থেকে শুরু করে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত বাইকে করে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ১ হাজার ১৪৮ টি নিন্ম আয়ের, ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের বাসায় বাসায় গিয়ে খাবার পৌছে দিয়েছে আমাদের সংগঠনের সদস্যরা।

এই পর্যন্ত সর্বমোট অরেঞ্জ আর্মি বিডি ৩ হাজার ১৭৫ টি পরিবারের মাঝে খাবার সামগ্রী পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছে বলে জনান সদস্যরা।

সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করার ঠিকানা- ফোন নাম্বার: ০১৭৩৭-৩৭৯৯০৮ আর ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে এই লিংক- https://m.facebook.com/OABD19/?device_id=43c8d332-92b6-4862-8448-16c2b508596b তবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই খাদ্য সহায়তা শুধুমাত্র ঢাকা সিটির জন্য প্রযোজ্য। কারণ আমাদের লোক বল একাধিক না থাকায়। আমরা সারাদেশে এই সেবাটা দিতে পাড়ছি না। এই জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
  
সংগঠনের সদস্য যোবায়ের হাসান সাকিল বলেন, আমাদের সকল সদস্য সুস্থ থাকলে, "না খেয়ে ঘুমাবেন না" এই শ্লোগানটি সামনে রেখে আমরা কার্যক্রমটি লকডাউন না তোলা পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। কোনো সংগঠন বা ব্যক্তি ইচ্ছা করলে আমাদের মাধ্যমে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।


   আরও সংবাদ