ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

গাজীপুরে লকডাউন মানছে না জনগণ, শনাক্ত ১১ জন


প্রকাশ: ১১ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


গাজীপুরে লকডাউন মানছে না জনগণ, শনাক্ত ১১ জন

   

গাজীপুর সংবাদদাতা: গাজীপুর মহানগরীর পাড়া-মহল্লায় চলছে লকডাউন। মানছে না এ লকডাউন। প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সকল প্রতিষ্ঠান সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মানছে না লকডাউন। রাস্তায় ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

গেল-কয়েক দিন সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে লকডাউনের চিত্র। চায়ের দোকানে আড্ডা, মুদিখানা দোকান, বিকাশের দোকান, কাঁচাবাজার, ঔষধের দোকানসহ সকল প্রকার দোকানে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

পুলিশ প্রশাসন নিরুপায় হয়ে পড়েছে। পুলিশের সঙ্গে ভেলকিবাজি খেলাচ্ছেন লকডাউনে থাকা সাধারণ মানুষ। টহল পুলিশের গাড়ি দেখলেই অলি-গলিতে গিয়ে পালায়। করোনা ও লকডাউন কি অনেকেই তা বুঝেন না। কেউ আবার করোনাকে
বিশ্বাস করেন না। 

জিএমপি’র কোনাবাড়ি থানা পুলিশের সহকারি পরিদর্শক জসিম উদ্দিন জানান, লকডাউন মানছে না। বুঝিয়ে বললে তাঁরা কিছুই বুঝেন না। লাঠি চার্জ করা যায় না। লকডাউন কি জিনিস অনেকেই তা বিশ্বাস করেন না। জনস্বাস্থ্যে ও সরকারের এই লকডাউনের নির্দেশিকা অমান্য করলেও শাস্তির বিধান না থাকায় বেশিরভাগ মানুষই মানছে না লকডাউন। 

করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ঘরবন্দি থাকতে নারাজ তাঁরা। গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বিনা কারণে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছে। সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কঠোর হুঁশিয়ারি না থাকায় লকডাউনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

কিছু ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও দলীয় নেতাকর্মীরা এলাকায় করোনা মুক্ত রাখতে নিজেরাই কিছু চেকপোস্ট বসিয়েছেন। নগরীর আমবাগ, কোনাবাড়ি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক, হরিণাচালা, কুদ্দুসনগর, বাইমাইল, গাছা, চৌরাস্তা, বাসন সড়ক, ভোগড়া- বাইপাস, কাশিমপুর নয়াপাড়া, হাতিমারা, জিরানীসহ অন্যান্য এলাকায় লকডাউন অমান্য করছে। 

সচেতন কিছু লোককে দেখা যায়, প্রয়োজনেও তাঁরা ঘরের চৌকাট পের হচ্ছে না। নগরীর হরিণাচালা-পারিজাত এলাকার পল্লী চিকিৎসক মোস্তফা কামাল জানান, সাধারণ মানুষ লকডাউন মানছে না। সকাল নেই, বিকেল নেই, বিনা প্রয়োজনে লোকজন সব সময় ঘুরাঘুরি করছে। 

পুলিশকেও তেমন নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় না। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) তথ্য মতে গাজীপুরে ১১-জন করোনায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকি ৯ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।


   আরও সংবাদ