ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

২৫ এপ্রিল প্রথম রোজা


প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


২৫ এপ্রিল প্রথম রোজা

   

বিএন নিউজ ডেস্ক : এই বছর রমজানের প্রথম রোজা হবে শনিবার (২৫ এপ্রিল)। শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) রমজানের চাঁদ দেখা যাবে। ইসলামের রীতি অনুযায়ী চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল আরবি মাস। চাঁদ দেখার মাধ্যমেই সারাবিশ্বের মুসলিমরা মাসব্যাপী রোজা পালন করেন। 

আকাশ গবেষক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা যাই বলুক না কেন, মুসলিম বিশ্ব চাঁদ দেখেই পালন করবেন পবিত্র রমজান মাসের রোজা। এটাই ইসলামের নীতি। এমন খবর জানিয়েছে জিওনিউজ।

যেহেতু রোজা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। শাবান মাসের ২৯ তারিখ (২৪ এপ্রিল) যদি রমজানের চাঁদ দেখা যায় তবে ২৪ তারিখ তারাবিহ পড়ে ভোর রাতে সেহরি খেতে হবে। শনিবার (২৫ এপ্রিল) হবে প্রথম রোজা। আর যদি শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হয়। তাহলে প্রথম রোজা হবে রোববার (২৬ এপ্রিল)।

এদিকে এ বছর বাংলাদেশে আরবি ১৪৪১ হিজরি সনের সপ্তম মাস রজব ৩০ দিন পূর্ণ হয়েছিল। সৌদি আরবে রজব মাস ছিল ২৯ দিনে। শাবন মাসে এসে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবধান দুদিনে এসে দাঁড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, মুসলিম উম্মাহর কাছে রমজান মাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাবান। সব মুসলিমই জ্যোতির্বিজ্ঞানের গবেষণার চেয়ে খালি চোখে চাঁদ দেখে রোজা পালন করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। যদিও বিগত কয়েক বছর ধরে রোজা ও রমজানের তারিখ প্রযুক্তির কল্যাণে খালি চোখে চাঁদ দেখার আগেই নির্ধারণ হয়ে যায়।

আল্লাহ যে কোনো স্থান থেকে ইবাদত করলেই কবুল করেন। সৌদি আরবে মসজিদে নামাজ, জামাত বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি তারাবি নামাজও সবাই ঘরে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোজার নিয়ত-
বাংলায় উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামীউল আলীম।

অর্থ: আয় আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বান শরীফ-এর ফরয রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাত।


মাসআলা: কেউ যদি সুবেহ ছাদিক্বের পূর্বে নিয়ত করতে ভুলে যায় তাহলে তাকে দ্বিপ্রহরের পূর্বে নিয়ত করতে হবে।

ইফতার করার দোয়া-
বাংলায় উচ্চারণ: (আল্লাহুম্মা সুমতু লাকা, ওয়া তাওআক্কালতু আ‘লা রিঝক্বিকা, ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন)

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং আপনারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার করছি।

ইফতারের সুন্নত আমলসমূহ-
খুরমা বা খেজুর দ্বারা ইফতার শুরু করা সুন্নত। আমাদের নবীজি খুরমা বা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। ওয়াক্ত হওয়া অর্থাৎ আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নত। হাদীসে কুদসী শরীফ এ রয়েছে, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন: “আমার বান্দাদের মধ্যে আমার নিকট অধিকতর প্রিয় ওই ব্যক্তিরাই যারা তাড়াতাড়ি ইফতার করে অর্থাৎ সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করে।” কিন্তু সময় হয়নি এমন অবস্থায় দ্রুত পানাহার করলে ক্বাযা-কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হয়ে যাবে। তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।


   আরও সংবাদ