ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ ভাদ্র ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

করোনায় নারী নির্যাতন ও গর্ভধারণ বেড়েছে : ড.দেবপ্রিয়


প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


করোনায় নারী নির্যাতন ও গর্ভধারণ বেড়েছে : ড.দেবপ্রিয়

   

স্টাফ রিপোর্টাল : করোনার সংক্রমণ রোধে দেশের বিভিন্ন জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে নারী নির্যাতন ও গর্ভধারণ বেড়েছে বলে দাবি করেছেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

শনিবার (১৮ এপ্রিল) প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক পেইজে ‌‌‌‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানসমূহের তৎপরতার কার্যকারিতা বাড়াতে সরকারের প্রতি সুপারিশ’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই দাবি করেন। 

এই পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়ানোর জন্য প্ল্যাটফর্ম এবারের মিডিয়া ব্রিফিংটি শুধুমাত্র লাইভ স্ট্রিমিং করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য করা হয়।

এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ প্রায় ১১৫টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এবং বেসরকারি খাতের সংস্থাদের নিয়ে দেশের এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এখন করোনার কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যরা দেশব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘চলমান মহামারিতে আমরা বিভিন্ন জেলা থেকে খবর পাচ্ছি নারী নির্যাতন বেড়েছে। এটা রোধ করতে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে। মহামারির ফলে স্কুল থেকে অনেকে ঝরেপড়বে। আমরা দেখছি গর্ভধারণ বাড়ছে এক্ষেক্রে স্থানীয় প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মহামারির ফলে দারিদ্র্য জনগোষ্ঠী সব থেকে বিপাকে। এদের মধ্যে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। ফলে পুষ্টিহীনতা বাড়ছে। সামনে আরো বাড়তে পারে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।’

লকডাউনে যুবসমাজের প্রসঙ্গে সিপিডি সম্মানীয় ফেলো বলেন, ‘লকডাউনের ফলে যুব সমাজ দুইটি সমস্যায় পড়তে পারে। এর একটি মাদকসেবা অপরটি জঙ্গীমতবাদে বিশ্বাস। তাই প্রশাসনকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’

দারিদ্র্য জনগোষ্ঠী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকারের উচিত এসডিজি বাস্তবায়ন ট্রাস্ট ফাণ্ড গঠন করা। এই ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে পিছিয়েপড়া মানুষকে সহায়তা করা।’

ত্রাণ বিতরণ প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, ‘ত্রাণ বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতা করতে হবে। ঠিকঠাক মতো ত্রাণ পৌঁছে গেলো কিনা সামাজিক জবাবদিহিতা দরকার। এই মহামারি জাতীয়ভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য দরকার জাতীয় ঐক্য। এই সময় পিছিয়েপড়া মানুষের কথা ভুলে গেলে চলবে না।’

‘মাঠ থেকে শহরে ফসল নিয়ে আসার জন্য সবার সহযোগিতায় একটা সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি।

প্ল্যাটফর্ম সদস্যরা বেশকিছু প্রতিবন্ধকতার কথা জানান। প্ল্যাটফর্মের সদস্যদের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশ উঠে এসেছে।

সদস্য সংগঠনগুলোর এসব চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশ তুলে ধরে জন্য প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে একটি ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।


   আরও সংবাদ