প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : কিছুদিনের অভিজ্ঞতায় ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) ফল ভালো পাওয়া যায়নি। যে ৯ জন রোগীকে ভেন্টিলেটরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল তাদের মধ্যে ৮ জনই মারা গেছেন। আইসিইউতে ভেন্টিলেশনের চেয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার কার্যকর।
রোববার (১৯ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় মহাখালীর ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (এমআইএস) বিভাগের মিলনায়তনে ‘করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত’ অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে নিজ বাসা থেকে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলেন, ৮০ শতাংশ রোগী বিনা চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠেন। ১৫ শতাংশ রোগী হাসপাতালে অবজারভেশনে থাকেন। আর ৫ শতাংশ রোগীর আইসিইউ ও ভেন্টিলেশন লাগে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সাড়ে তিন হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার নতুন অর্ডার করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ১০ হাজার সিলিন্ডার মজুদ আছে।
‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আইসিইউতে ভেন্টিলেশনের চেয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেশি কার্যকর।’
লকডাউন প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা যেভাবে আশা করছিলাম সেভাবে লকডাউন কার্যক্রম হচ্ছে না। আক্রান্ত এলাকা থেকে মানুষ বিভিন্ন ভালো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। পাশাপাশি নতুন লোক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বেড়ে যাচ্ছে।
‘আমাদের আরো রোগী আছে। যারা ডায়াবেটিস, কিডনি ডায়ালসিস লাগে, হৃদরোগে আক্রান্ত, গর্ভবতী মায়েরা, ছোট্ট শিশু তাদেরও চিকিৎসা দিতে হয়। তাদের আমরা চিকিৎসা বঞ্চিত করতে পারবো না। আমাদের সরকারি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এসব রোগীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে।’
মন্ত্রী বলেন, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯১ জনে। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১২ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৫৬ জন। নতুন করে সুস্থ হয়েছে ৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭৫ জন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২ হাজার ৬৩৪টি। মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ হাজার ৮২৫ জনের নমুনা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, নতুন ৩১২ জন আক্রান্তের মধ্যে ৬৬ শতাংশ পুরুষ, নারী ৩৪ শতাংশ। ঢাকার ভিতরে আছে ৪৪ শতাংশ, নারায়ণগঞ্জে ৩১ শতাংশ, বাকি ২৫ শতাংশ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
তিনি বলেন,২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৫ জন, নারী দু’জন। ঢাকার ভিতরে তিনজন, চারজন নারায়ণগঞ্জের।
‘বয়স বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ,২১ থেকে ৩০ বয়সের মধ্যে ২২ দশমিক ৩ শতাংশ। বাকিরা অন্যান্য বয়সের মধ্যে রয়েছেন।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের(এম আইএস)পরিচালক ড. হাবিবুর রহমান অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে যুক্ত ছিলেন।