ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ ভাদ্র ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতি সহ্য করা হবে না : রেজাউল


প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতি সহ্য করা হবে না : রেজাউল

   

স্টাফ রিপোর্টার : করোনা পরিস্থিতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সংকট মোকাবেলায় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম বলেন, এই মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-অধিদপ্তরের জেলা-উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে কোনভাবেই গাফিলতি সহ্য করা হবে না।

রোববার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে করোনা পরিস্থিতিতে মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরী খাতের সংকট মেকাবেলায় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ সংক্রান্ত এক জরুরী সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে মৎস্য, পাল্ট্রি ও ডেইরি সংকট মোকাবেলায় এক সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে একটি নীতিমালা প্রস্তুত করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থার চলমান কার্যক্রম গতিশীল করা এবং যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে প্যাকেজ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ মূহুর্তেই শুধু নয় আগামীতেও যাতে করোনা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ক্ষয়-ক্ষতির মধ্যে এ সেক্টর না পড়ে সেটাকে সবচেয়ে গুরুত্বের সাথে আমরা বিবেচনায় রাখছি।”

মন্ত্রী বলেন, “বিশ্বব্যাংকের আর্থিক ঋণ সহায়তা প্রকল্প এলডিডিপি-এর আওতায় ইমার্জেন্সী রেসপন্স হিসেবে পোল্ট্রি ও ডেইরী খাতের জন্য প্রায় একশত মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক মূল্যের পোল্ট্রি ও ডেইরী খাদ্য, দুধের ক্রিম সেপারেটর মেশিন, কুলিং ভ্যান ও জীবাণুনাশক স্প্রে ক্রয়সহ নগদ প্রণোদনার জন্য বিশ্বব্যাংকে প্রস্তাব প্রেরণ করা হচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতিগ্রস্থ উদ্যোক্তা এবং খামারিদের আর্থিক ক্ষতি মোকাবেলায় ব্যাংক বা এনজিও থেকে গৃহীত ঋণের কিস্তি ও সুদ একবছরের জন্য মওকুফকরণ, ২ হাজার কোটি টাকা নগদ প্রণোদনা প্রদান এবং বিনা সুদে ও সহজ শর্তে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে। 

মন্ত্রী আরো বলেন, “করোনা সংকটে কোনভাবেই মুরগীর বাচ্চা, মাছ ও পোল্ট্রি খাদ্য, ভ্যাকসিন উৎপাদন, পরিবহণ ও আমদানিতে ঘাটতি রাখা যাবে না। চিংড়িসহ অন্যান্য মাছের পোণা উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণন স্বাভাবিক রাখতে হবে।”

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “এই ক্রান্তিকালে মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থাকে সবচেয়ে সক্রিয় করতে চাই, যাতে করোনার প্রভাবে ডিম, দুধ, মাছ, মাংস উৎপাদন, সরবরাহ, পরিবহণ ক্ষেত্রে কোন বাধা না হয়। কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত সমস্যা সার্বক্ষণিকভাবে সমাধান করা হচ্ছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মাছ ও পোল্ট্রি খাদ্যের দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তা, খামারী, রপ্তানিকারক, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সরকারি সহায়তায় আওতায় আনা হবেন বলেও আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকারসহ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।


   আরও সংবাদ