ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

নোয়াখালী চালের জন্য ইউপি কার্যালয় ঘেরাও, আহত ৭


প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


নোয়াখালী চালের জন্য ইউপি কার্যালয় ঘেরাও, আহত ৭

   

নোয়াখালী সংবাদদাতা : নোয়াখালীতে জেলেরা চালের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ঘেরাও করতে গেলে চেয়ারম্যানের অনুসারীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ও হামলায় ৭ জন জেলে আহত হন।

সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নে এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতরা হলেন- জবিউল্লা (৫৩), সালাউদ্দিন (৬০), সহিদ উল্লা (৪৫), হারুন (৩২), কহিনুর (২৮), সেলিম (৪০) ও কতবানু (৬৫)। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, অশ্বদিয়া ইউনিয়নে ১৬০ জন জেলের জন্য ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় মাসে ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু জেলেরা তাদের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বরাদ্দ না পেয়ে আজ সোমবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ঘেরাও করে। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু পরিষদ থেকে বের হলে চালের জন্য তাকে ঘিরে ধরেন জেলেরা। 

এক পর্যায়ে চেয়ারম্যানের অনুসারীরা জেলেদের ধাওয়া করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে চেয়ারম্যানের অনুসারীদের হামলায় সাত জেলে আহত হন। খবর পেয়ে সদর ইউএনও আরিফুল ইসলাম সরদার, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আবদুর রহিম অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অশ্বদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু জানান, জেলেরা কোনো কিছু না বুঝেই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। এতে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়। জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল যথা সময়ে তাদের মাঝে বন্টন করা হবে। 

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আবদুর রহিম জানান, চালের জন্য জেলেরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ যাওয়ার আগে কিছু অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল ইসলাম সরদার জানান, জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত দুই মাসের চাল উত্তোলনে বিলম্বের কারণে যথাসময়ে বিলি করা যায় নি। যে কারণে জেলেদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে দ্রুত চাল বন্টনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে জেলেরা শান্ত হন।


   আরও সংবাদ