ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কালিগঞ্জে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামহীন ভাবে বাড়ছে


প্রকাশ: ২০ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


কালিগঞ্জে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামহীন ভাবে বাড়ছে

   


সাতক্ষীরা থেকে শিমুল : বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবে মানুষের সাভাবিক জীবনযাত্রা থমকে গেছে। কিন্তু থেমে যায়নি অসাধু ব্যবসায়ীদের হীন মানষিকতা। 

পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে  হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা হাজার হাজার পরিবারকে জিম্মি করে আসন্ন রমজানের আগে অজ্ঞাত কারণে লাগামহীন ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে চাউল, ডাউল সহ নিত্য পণ্যের দাম। ক্রয় ক্ষমতার দ্বীগুন মুল্যে বাজেট বৃদ্ধির কারনে বাজারে হিমসিম খাচ্ছে ক্রেতা সাধারণ। 

কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগী মহলের পক্ষ থেকে জানাগেছে, গত ১৫ দিনের ব্যবধানে বাজারে চাউলের খুচরা মূল্য আতব-২৮ চাউল প্রতি বস্তা ১৯’শ টাকার স্থলে ২১’শ থেকে ২২’শ টাকায়, মিনিকেট সিদ্ধ চাউল ২ হাজার টাকার স্থলে ২৩’শ টাকায়, আতপ-৩০ নরমল চাউল ১৪’শ ৫০ টাকার স্থলে ১৭’শ টাকায়, সিদ্ধ মোটা নরমল-৪৯ চাউল ১৫’শ টাকার স্থলে ১৭’শ থেকে ১৭শ’ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

যা কেজি প্রতি ৫-৬ টাকা বৃদ্ধি হয়েছে। এদিকে চাউলের পাশাপাশি ৪৮/৫০ কেজি দরের মুশুরির ডাল ৮৪ টাকায়, ৩৮/৩৯ টাকা কেজি দরের বুট ডাল ৪৫ টাকায়, ২’শ ৩০ টাকা কেজি দরের শুকনা মরিচ ৩’শ ৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায়, ৩২ টাকা দরের কেজি প্রতি পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকায়। ৬০ টাকা কেজি প্রতি নরমল দেশী রসুন ১’শ টাকায়, ৮৫ টাকা দরের ভালো রসুন ১’শ ২৫ টাকায়, ৬৫ টাকা দরের ছোলা কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়, ১’শ ৫০ টাকা দরের আদা কেজি প্রতি ৩’শ টাকায়, ২৫ টাকা আধা কেজি ওজনের মুড়ির প্যাকেট বর্তমানে ৩০ টাকায়, ২৮ টাকা আধা কেজি ওজনের মুড়ি ৩৩ টাকায়, ৩৮ টাকা মুল্যে প্রতি কেজি চিড়া ৫০ টাকায় খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। 

কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ও মজুদদারী’দের কবলে বাজার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হচ্ছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব না মানার অপরাধে বিভিন্ন হাট বাজারে আদালতে পরিচালিত হলেও হঠাৎ  বাজারে এহেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক মনিটরিং ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। কারণ এ মুহুর্তে করোনা ভাইরাস ঠেকাতে কোয়ারেন্টাইন সহ সরকার গৃহীত কর্মসূচী বাস্তবায়নে প্রশাসন মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছে অনেক দায়িত্বশীলতার সহিত। 

এসুযোগে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বাজারের পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ী গণ নিজেদের স্বার্থ হাচিলের চেষ্টায় লিপ্ত আছেন। আসন্ন রমজান মাসে ও করোনা জনিত বিপর্যয়কালে দরিদ্র, হতদরিদ্র, নিন্ম মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার মুল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার তথা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ও এলাকার সচেতন মহল।


   আরও সংবাদ