ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সাত জেলার ক‌রোনা পরীক্ষা হ‌চ্ছে যবিপ্রবিতে


প্রকাশ: ২০ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


সাত জেলার ক‌রোনা পরীক্ষা হ‌চ্ছে যবিপ্রবিতে

   

যশোর থেকে খান সা‌হেব : যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টারে এখন সাত জেলার রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। বৃহত্তর যশোর ও কুষ্টিয়ার এই সাত জেলা হলো- যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা এবং মেহেরপুর।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার মোট ৯৯টি নমুনা জমা দেওয়া হয়। যবিপ্রবি ল্যাবে করোনা রোগীর শনাক্তের চতুর্থ দিনে এটি সর্বাধিক নমুনা। এর আগে গত শুক্র, শনি ও রোববার তিন দিনে মোট ১০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ওই নমুনাগুলোর কোনোটিতে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়নি।


যবিপ্রবি জেনোম সেন্টারের সহকারী পরিচালক প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, প্রথম দিন শুধু যশোর, পরের তিন আরো দুটি জেলা এবং  সোমবার সাত জেলার নমুনা এসেছে সিভিল সার্জনদের মাধ্যমে। এর বাইরেও আরো কয়েকটি জেলা থেকে নমুনা পরীক্ষা করতে দেওয়া হতে পারে।

সোমবার জমা হওয়া নমুনাগুলোর মধ্যে রয়েছে যশোরের ৩৪টি, ১৫ টি ঝিনাইদহের ১৫টি, মাগুরার সাতটি, নড়াইলের তিনটি, কুষ্টিয়ার দশটি, চুয়াডাঙ্গার ১৪টি এবং মেহেরপুর জেলার ১৬টি।

বিকেলে নমুনাগুলো প্রসেস করে পরীক্ষা শুরু করা হয় বলে জানিয়ে ড. জাহিদ বলেন, মঙ্গলবার সকালে রেজাল্ট সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, 'যশোরের সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগ আমাদের ৪০০টি কিট সরবরাহ করে। এ পর্যন্ত ২০৩টি কিট ব্যবহার করা হয়েছে। এখন আমাদের কাছে মাত্র ১৯৭টি কিট আছে। ধারণা করছি, মঙ্গলবারের পর কিটের সঙ্কট দেখা দিতে পারে। এজন্য আগেভাগেই সিভিল সার্জন অফিসকে কিট সরবরাহ করতে বলেছি।'

যবিপ্রবি ল্যাবের এ পরীক্ষা কার্যক্রম যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য কিট সময়মতো সরকরাহ করতে হবে। বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানান এই শিক্ষক।

তবে এ বিষয়ে সোমবার সন্ধ্যায় যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা রোগী শনাক্তের জন্য পরীক্ষা কিটের চাহিদার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো তাকে কিছু জানাননি। 

আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে জানালে তিনি কিটের চাহিদাপত্র পাঠাবেন আইইডিসিআর-এর কাছে।


   আরও সংবাদ