ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চৌগাছায় করোনা শনাক্ত, পৌর এলাকা লকডাউন


প্রকাশ: ২১ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


চৌগাছায় করোনা শনাক্ত, পৌর এলাকা লকডাউন

   

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের এক নারী (৩৭) ও এক কিশোরের (১৩) করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। এদের মধ্যে কিশোরটির বাড়ি শহরের ৮নং ওয়ার্ডের মডেল প্রাইমারী স্কুল পাড়ায়। তার মা শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালের কর্মী। নারীটির বাড়ি শহরের ২নং ওয়ার্ডের থানা পাড়ায়। তিনি গৃহিনী। এঘটনায় ওই দুইজনের পরিবারের ৮ জনসহ সংস্পর্শে আসা ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে দুজন করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ায় চৌগাছা পৌর এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। 

বুধবার বিকেল সাড়ে চারটায় চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম তার ফেসবুকে গোটা পৌর এলাকা লকডাউনের ঘোষণা দেন। 

ফেসবুক স্টাটাসে তিনি বলেন ‘জনস্বাস্থ্যের বিষয় বিবেচনা করে আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত চৌগাছা পৌরসভা এলাকা লকডাউন করা হলো।’ এর আগে দুপুর ২টায় তিনি তার ফেসবুকে আরেক ঘোষণায় বলেন মেডিকেল ইমার্জেন্সি ছাড়া পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত চৌগাছা উপজেলায় সকল অটোরিকশা, ভ্যানসহ যেকোন ধরনের যানবাহনে মানুষ পরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পন্য পরিবহন স্বাভাবিক থাকবে।’

এর আগে আজ বুধবার সকালে যশোরের সিভিল সার্জন অফিস থেকে মৌখিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ২ জনের করোনা পজেটিভের বিষয়টি জানানো হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে মঙ্গলবার চৌগাছার চার রোগীর নমুনা পাঠানো হয় যশোর সিভিল সার্জন অফিসে। সেখান থেকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয় নমুনা। এর মধ্যে ওই দুজনের নমুনা পজেটিভ আসে। বর্তমানে ওই দুজনই তাদের নিজেদের বাড়িতে চিকিৎসাধীন।

হাসপাতাল সূত্রে আরো জানা গেছে এদের মধ্যে কিশোরটির ডায়রিয়া ও জর ছিল এবং নারীটির জর ও গলায় ব্যাথা ছিল। তারা পরীক্ষা করাতে না চাইলেও কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে করোনা উপসর্গ বলে মনে হওয়ায় তাদের নমুনা এক প্রকার জোর করেই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এদের মধ্যে কিশোরটির মা শহরের স্বর্ণপট্টির ডাক্তার আনিছুজ্জামান-নাহার ফাউন্ডেশনের ‘নাহার ডায়াবেটিক সেন্টারে’র কর্মী। আর ছেলেটি শহরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার বলেন মঙ্গলবার ৪ রোগীর নমুনা পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে দুজন পজেটিভ হয়েছেন বলে সিভিল সার্জন অফিস থেকে নিশ্চিত হয়েছি। তিনি আরো বলেন এ ঘটনায় ওই দুই পরিবারের ৮ জনসহ রোগীদের সংস্পর্শে আসা ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন মৌখিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর গোটা চৌগাছা পৌর এলকা লকডাউন করা হয়েছে। রোগীদের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।


   আরও সংবাদ