ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম বন্দর সচল রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ : খালিদ মাহমুদ


প্রকাশ: ২২ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


চট্টগ্রাম বন্দর সচল রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ : খালিদ মাহমুদ

   

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দর সচল রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বন্দর ভবনে সাংবাদিকদের এ প্রতিজ্ঞার কথা জানান তিনি। এর আগে বন্দর ভবনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৬ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত সাংবাদিকরা সাহস দিয়েছেন। যদিও নেতিবাচক সংবাদের জন্য পাঠক উন্মুখ হয়ে থাকি। চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে বাংলাদেশের লাইফ লাইন। আমরা পণ্য ওঠানামার দায়িত্বে থাকি। আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ চট্টগ্রাম বন্দর সচল রাখতে। বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবেলায় আমরা সচেষ্ট। বন্দরের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ঝুঁকি হচ্ছে আগামী প্রজন্মের জন্য।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনগণের সঙ্গে, বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলছেন। ১৬ কোটি মানুষের দায়িত্ব সচেতনভাবে এ সংকট মোকাবেলা করা।

যেখানে সহযোগিতার প্রয়োজন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বন্দরের শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কাজ করতে হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ আন্তরিক। সংকট মুহূর্তে প্রণোদনা নয়, দায়িত্বের বিষয়। বন্দরে কাজ করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি দিয়ে দেখবে। করোনার জন্য বিশ্বের কেউ প্রস্তুত ছিলো না।

তিনি জানান, বহির্নোঙরে ৩৩টি জাহাজ অপেক্ষমাণ আছে। সেগুলোতে ৩৬ হাজার কনটেইনার আছে। বন্দর থেকে অফডকে কনটেইনার পাঠিয়ে জাহাজের কনটেইনার নামাতে হবে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, করোনাভাইরাস আসার পর সব কর্মকাণ্ড বন্ধ হলেও ব্যতিক্রম চট্টগ্রাম বন্দর। অনেক স্টেকহোল্ডার বন্দরের। গণমাধ্যমের সাপোর্ট আমরা পেয়েছি। পজেটিভ গ্রোথ রেট ধরে রাখার মাধ্যম বন্দর। তাই বাধা চিহ্নিত করে তা অপসারণের চেষ্টা করেছি।

কনটেইনার জট নিরসনে সব পণ্য অফডকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুমোদন পেতে যাচ্ছি। তাহলে ১৮ হাজার কনটেইনার অফডকে নেওয়া যাবে। বিকেলের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে আশাকরি।

আমাদের টার্গেট জট কমানো। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ সহ আমদানিকারকদের স্টোর রেন্ট মওকুফের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ২০ এপ্রিলের মধ্যে যেসব কনটেইনার জাহাজ এসেছে এ সুযোগ পেয়েছে।

বন্দরের শ্রমিকদের ধন্যবাদ জানাই। সবাই যখন আতঙ্কিত হয়ে ঘরে অবস্থান করছে তখন তারা কাজ করেছে।

এ সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শেখ আবুল কালাম আজাদ, বন্দরের সদস্য জাফর আলম, বন্দর সচিব ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


   আরও সংবাদ