ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ ভাদ্র ১৪৩১, ৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চৌগাছা পৌর মেয়রের ব্যবস্থাপনায় ট্রাক চালকের দাফন


প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


চৌগাছা পৌর মেয়রের ব্যবস্থাপনায় ট্রাক চালকের দাফন

   

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছায় খলিলুর রহমান (৪০) নামে এক ট্রাক চালক হঠাৎ বমি-পাতলা পায়খানার পর শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়া সেই ট্রাক চালকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

বিষাক্ত মদ পানে মৃত্যু হয়েছে কি না জানার জন্য পুলিশ তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে রবিবার বিকেলে ফেরৎ দিলে পৌর মেয়র নূর উদ্দিন আল মামুনের ব্যবস্থাপনায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অগ্রযাত্রার স্বেচ্ছাসেবক আব্দুর রশিদ রাজু তাকে গোসল দিয়ে কাফন পরায়। পরে ইফতারির কিছুক্ষণ আগে আব্দুর রশিদ রাজুর ইমামতিতে জানাজা শেষে তাকে পৌর কবরস্থানে কবরস্থ করা হয়। 

জানাজায় পৌর মেয়র নূর উদ্দিন আল মামুন হিমেল, অগ্রযাত্রার সভাপতি ব্যবসায়ী হাসিবুর রহমান হাসিব, সম্পাদক জাহিদ হাসান, অর্থসম্পাদক ডা. ফয়সাল আহমেদ, নিহতের বড়ভাই জামাল উদ্দিনসহ কয়েকজন অংশ নেন।

এর আগে শনিবার বিকাল চারটার দিকে শহরের ভাস্কর্য মোড়ের ভাড়া বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। ওই ভাড়া বাড়িতে মাকে নিয়ে থাকতেন তিনি। তবে চারটার সময় মারা গেলেও পাশের বাড়িতেই ভাড়া থাকা নিহতের বড় ভাই জামাল উদ্দিন সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ওই বাড়ির সিমানাতেই যাননি। শুধুমাত্র বৃদ্ধ মা লাশটি নিয়ে বসে থাকেন। 

এরপর সন্ধ্যা ছয়টা ১৫ মিনিটে চৌগাছা পৌর মেয়র নূর উদ্দিন আল মামুন হিমেল, হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. উত্তম কুমার, চৌগাছা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই বিপ্লব রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অগ্রযাত্রার আহবায়ক ব্যাবসায়ী হাসিবুর রহমান হাসিব, সাংবাদিক আজিজুর রহমান, এইচএম ফিরোজসহ ওই বাড়িতে যান। 

তখন মৃতের ভাইকেও ওই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা ছয়টা পনের মিনিটে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. উত্তম কুমার ওই বাড়িতে গিয়ে লাশ পর্যবেক্ষণ করে বলেন এটি হার্ট এ্যাটাকের মৃৃত্যু। করোনার কোন লক্ষণ নেই। এর পর মেয়র সিদ্ধান্ত দেন লাশ মাটি দেয়ার ব্যবস্থা করতে। কিন্তু লাশটির গোসল দেয়ার বা দাফন করার জন্য রাত নয়টা পর্যন্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে অগ্রযাত্রার রাজু রাজি হলেও থানা পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। 

পরে রবিবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রবিবার বিকালে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এরপর স্বেচ্ছাসেবীরা দাফনের ব্যবস্থা করে। 

প্রথমদিকে কেউ কবর খুড়তে না চাইলেও পরে পৌর মেয়রের ব্যবস্থাপনায় স্বেচ্ছাসেবী জাকির হোসেন, দুঃখে, উজ্জল, সলেমান, টিটো, শিমুল, তবিবর, জুয়েল, শরিফুল, শুকুর আলী, কামরুল, সোহেল প্রমুখ পৌর কবরস্থানে কবর খুড়ে দাফন কার্য সমাপ্ত করেন।

এদিকে চৌগাছায় এই করোনাকালে যে কেউ মারা গেলে তাদের কবর খোড়া, গোসল ও দাফনে এই স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন অগ্রযাত্রার সভাপতি হাসিবুর রহমান।


   আরও সংবাদ